কবি ভানুভক্তের জন্মদিনে তৃণমূলকে কটাক্ষ মোর্চার

মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে নেপালি কবি ভানুভক্তের জন্মদিন পালনের জিটিএ-র মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। রবিবার দার্জিলিঙের গোর্খা রঙ্গমঞ্চে জিটিএ-র তরফে কবির ২০০তম জন্মজয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠান হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৪ ০১:৪৯
Share:

মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে নেপালি কবি ভানুভক্তের জন্মদিন পালনের জিটিএ-র মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। রবিবার দার্জিলিঙের গোর্খা রঙ্গমঞ্চে জিটিএ-র তরফে কবির ২০০তম জন্মজয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠান হয়। সেই মঞ্চ থেকেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মোর্চা নেতারা। আগামী সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দার্জিলিঙের আসার কথা রয়েছে।

Advertisement

এ দিনের অনুষ্ঠানের বক্তব্যে মোর্চার সহ সম্পাদক তথা জিটিএ-র তথ্য সংস্কৃতি দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিনয় তামাঙ্গ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ২০১২ সালে কালিম্পঙে এসে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বছরভর কবি ভানুভক্তের ২০০তম জন্মজয়ন্তী পালন করা হবে বলে ঘোষণা করেন। এর পর দু’বছর কেটে গিয়েছে। কোথায় তেমন কোনও অনুষ্ঠান চোখে পড়েনি। আমরা কারও উপর ভরসা করতে রাজি নই, নিজেরা যথাযথ ভাবে কবিকে শ্রদ্ধা জানাতে নানা অনুষ্ঠান করেছি। কবিকে সম্মান জানাতে কৃতীদের সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” অনুষ্ঠান মঞ্চে জিটিএ-র চিফ তথা মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ উপস্থিত থাকলেও বক্তব্য রাখেননি।

কালিম্পঙের টাউন হলে ২০১২ সালে মুখ্যমন্ত্রী ভানুভক্তের ১৯৮তম জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। তখনই ২০১৩-র ১৩ জুলাই থেকে বছরভর নানা অনুষ্ঠান করার ঘোষণা করা হয় বলে জিটিএ-র দাবি। তৃণমূলের অভিযোগ, কবি ভানুভক্তের জন্মদিন পালনের মঞ্চকে রাজনৈতিক আক্রমণের জন্য ব্যবহার করা ঠিক নয়। তৃণমূলের পাহাড় কমিটির মুখপাত্র বিন্নি শর্মা বলেন, “মোর্চা নেতাদের সব কথার প্রতিক্রিয়া দিতে হবে, তার মানে নেই।” এ দিন অবশ্য রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে মংপু রবীন্দ্রভবনে ভানুভক্তের জন্মজয়ন্তী পালিত হয়। মংপু সাহিত্য সংস্থানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠান হয়েছে।

Advertisement

জিটিএ-র অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে নেপালি ভাষা, সাহিত্য সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি প্রকল্প এ দিন ঘোষণা হয়েছে। বিনয়বাবু জানান, জিটিএ-র ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে নেপালি অ্যাকাডেমি এবং নেপালি সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র গঠনের কথা বলা হয়েছিল। তার জন্য জমির খোঁজ চলছে বলে জানানো হয়েছে। ২২ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজও দ্রুত শুরু হবে বলে তিনি এ দিন দাবি করেন। নেপালিকে জিটিএ-র সরকারি ভাষা হিসেবেও দ্রুত ঘোষণা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এ দিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে সারা জীবনের কাজের স্বীকৃতির জন্য লেখক ইন্দ্রবাহাদুর রাইকে ভানুভক্ত সম্মান দেওয়া হয়। ২ লক্ষ টাকার সাম্মানিক দেওয়া হয় তাঁকে। এ ছাড়াও বেহালা বাদক গণেশ শর্মা, লোকনৃত্যের শিল্পী উষা গোমদেন, নাট্যকর্মী আই কে সিংহ ও সাংবাদিক কেশব প্রধানকে সম্মানিত করা হয়েছে। তাঁদের সকলকে ২৫ হাজার টাকার সাম্মানিক দেয় জিটিএ। আরও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে পুরস্কার চালু করা হবে বলে এ দিন জিটিএ-র তরফে ঘোষণা করা হয়েছে।কবি ভানুভক্তের জন্মদিনে তৃণমূলকে কটাক্ষ মোর্চার

নিজস্ব সংবাদদাতা, দার্জিলিং: মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে নেপালি কবি ভানুভক্তের জন্মদিন পালনের জিটিএ-র মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। রবিবার দার্জিলিঙের গোর্খা রঙ্গমঞ্চে জিটিএ-র তরফে কবির ২০০তম জন্মজয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠান হয়। সেই মঞ্চ থেকেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মোর্চা নেতারা। আগামী সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দার্জিলিঙের আসার কথা রয়েছে।

এ দিনের অনুষ্ঠানের বক্তব্যে মোর্চার সহ সম্পাদক তথা জিটিএ-র তথ্য সংস্কৃতি দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিনয় তামাঙ্গ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ২০১২ সালে কালিম্পঙে এসে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বছরভর কবি ভানুভক্তের ২০০তম জন্মজয়ন্তী পালন করা হবে বলে ঘোষণা করেন। এর পর দু’বছর কেটে গিয়েছে। কোথায় তেমন কোনও অনুষ্ঠান চোখে পড়েনি। আমরা কারও উপর ভরসা করতে রাজি নই, নিজেরা যথাযথ ভাবে কবিকে শ্রদ্ধা জানাতে নানা অনুষ্ঠান করেছি। কবিকে সম্মান জানাতে কৃতীদের সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” অনুষ্ঠান মঞ্চে জিটিএ-র চিফ তথা মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ উপস্থিত থাকলেও বক্তব্য রাখেননি।

কালিম্পঙের টাউন হলে ২০১২ সালে মুখ্যমন্ত্রী ভানুভক্তের ১৯৮তম জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। তখনই ২০১৩-র ১৩ জুলাই থেকে বছরভর নানা অনুষ্ঠান করার ঘোষণা করা হয় বলে জিটিএ-র দাবি। তৃণমূলের অভিযোগ, কবি ভানুভক্তের জন্মদিন পালনের মঞ্চকে রাজনৈতিক আক্রমণের জন্য ব্যবহার করা ঠিক নয়। তৃণমূলের পাহাড় কমিটির মুখপাত্র বিন্নি শর্মা বলেন, “মোর্চা নেতাদের সব কথার প্রতিক্রিয়া দিতে হবে, তার মানে নেই।” এ দিন অবশ্য রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে মংপু রবীন্দ্রভবনে ভানুভক্তের জন্মজয়ন্তী পালিত হয়। মংপু সাহিত্য সংস্থানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠান হয়েছে।

জিটিএ-র অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে নেপালি ভাষা, সাহিত্য সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি প্রকল্প এ দিন ঘোষণা হয়েছে। বিনয়বাবু জানান, জিটিএ-র ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে নেপালি অ্যাকাডেমি এবং নেপালি সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র গঠনের কথা বলা হয়েছিল। তার জন্য জমির খোঁজ চলছে বলে জানানো হয়েছে। ২২ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজও দ্রুত শুরু হবে বলে তিনি এ দিন দাবি করেন। নেপালিকে জিটিএ-র সরকারি ভাষা হিসেবেও দ্রুত ঘোষণা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এ দিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে সারা জীবনের কাজের স্বীকৃতির জন্য লেখক ইন্দ্রবাহাদুর রাইকে ভানুভক্ত সম্মান দেওয়া হয়। ২ লক্ষ টাকার সাম্মানিক দেওয়া হয় তাঁকে। এ ছাড়াও বেহালা বাদক গণেশ শর্মা, লোকনৃত্যের শিল্পী উষা গোমদেন, নাট্যকর্মী আই কে সিংহ ও সাংবাদিক কেশব প্রধানকে সম্মানিত করা হয়েছে। তাঁদের সকলকে ২৫ হাজার টাকার সাম্মানিক দেয় জিটিএ। আরও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে পুরস্কার চালু করা হবে বলে এ দিন জিটিএ-র তরফে ঘোষণা করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন