কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পাহাড়ের কংগ্রেস প্রার্থী

মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন দলীয় কার্যালয়ে না যাওয়ায়, শুক্রবার দলের নেতা কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হল দার্জিলিঙের কংগ্রেস প্রার্থী সুজয় ঘটককে। গত ২৪ মার্চ দার্জিলিঙের জেলাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তিনি। দলের পাহাড়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ দার্জিলিঙের চকবাজারে কংগ্রেসের কার্যালয়ে পৌঁছন সুজয়বাবু।

Advertisement

রেজা প্রধান

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৪ ০৪:৪৩
Share:

বৈঠকে সুজয় ঘটক। ছবি: রবিন রাই।

মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন দলীয় কার্যালয়ে না যাওয়ায়, শুক্রবার দলের নেতা কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হল দার্জিলিঙের কংগ্রেস প্রার্থী সুজয় ঘটককে। গত ২৪ মার্চ দার্জিলিঙের জেলাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তিনি। দলের পাহাড়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ দার্জিলিঙের চকবাজারে কংগ্রেসের কার্যালয়ে পৌঁছন সুজয়বাবু। অফিসের একটি ঘরে আগে থেকেই পাহাড় কমিটির কংগ্রেস নেতারা বসে বৈঠক করছিলেন। সুজয়বাবুকে সেই ঘরে নিয়ে গিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন নেতারা। সেই সঙ্গে সামিল হন কর্মীরাও। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে ক্ষোভ সামলাতে হয় প্রার্থীকে। নেতা-কর্মীদের দাবি, যে কোনও ভোটে প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার আগে চকবাজারের পার্টি অফিসে আসবেন, সেখান থেকে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যাবেন। এটাই পাহাড় কংগ্রেসের প্রথা। সেই মতো গত ২৪ মার্চও পাহাড়ের বিভিন্ন গ্রাম, চা বাগান থেকে কর্মী সমর্থকরা চকবাজারে দলের কার্যালয়ে এসে অপেক্ষা করছিলেন। সুজয়বাবু পার্টি অফিসে না এসে জেলাশাসকের দফতরে গিয়ে ফিরে যাওয়ার কথা শুনে কর্মী সমর্থকরাও ফিরে যান। কংগ্রেসের পাহাড় কমিটির সদস্য নকুল ছেত্রী বলেন, “পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেসকে বাঁচিয়ে রেখেছি। দলীয় দফতরে এসে তার পরে সেখান থেকে মনোনয়ন দিতে যাওয়াই প্রথা। সেদিনও আমাদের কর্মী-সমর্থকেরা অপেক্ষা করছিলেন। প্রার্থী না আসায় তাঁরা অপমানিত বোধ করেছেন।”

Advertisement

এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সুজয়বাবু দার্জিলিঙে জেলা কংগ্রেসের কার্যালয়ে পাহাড়ের নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি দলীয় দফতরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে দফতরেই একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর সামনে ক্ষোভ উগরে দেন দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। জেলা কংগ্রেস সূত্রে খবর, কংগ্রেসের দার্জিলিং টাউন কমিটির প্রেসিডেন্ট লরেন্স পি টি লামাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সমর্থকদের ক্ষোভের কথা অবশ্য অস্বীকার করেননি সুজয়বাবুও। তিনি এই দিন বলেছেন, “সমন্বয়ের অভাবেই এই ঘটনা ঘটেছে। আমি জেলাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দিতে এসে পাহাড়ের নেতাদের খোঁজ করি। তখনই জানতে পারি তাঁরা আমার জন্য দলীয় কার্যালয়ে অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময়ে সেটা জানতে পেরে আমারও খুব খারাপ লেগেছিল। আজ সকলে আমাকে তাঁদের ক্ষোভ জানান। তবে সব মিটে গিয়েছে।”

কর্মীদের ক্ষোভ শোনার পরে এই দিন সুজয়বাবু জানিয়েছেম, পাহাড়ে কংগ্রেসের প্রচারে তাঁরা রাহুল গাঁধীকে আনতে চান। তা এখনও ঠিক হয়নি বজানান তিনি। তাঁর কথায়, “নির্বাচন কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই প্রচার কমিটির কৌশল ঠিক করা হবে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন