কর্মী নেই, বেহাল বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতর

আলিপুরদুয়ারে কর্মীর অভাবে ধুঁকছে অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শককের দফতর। গত এক বছর ধরে ফাঁকা পড়ে রয়েছে দফতরের অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শকের পদটি। আধিকারিক থেকে চতুর্থ শ্রেণির ১৭টি পদ থাকলেও মাত্র একজন আধিকারিক ও ৪ জন কর্মী মিলে চালাচ্ছেন দফতরটি। অভিযোগ, মহকুমায় অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শক না থাকায় নানা কাজে জলপাইগুড়িতে যেতে হচ্ছে শিক্ষকদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৪ ০২:০৭
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

আলিপুরদুয়ারে কর্মীর অভাবে ধুঁকছে অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শককের দফতর। গত এক বছর ধরে ফাঁকা পড়ে রয়েছে দফতরের অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শকের পদটি। আধিকারিক থেকে চতুর্থ শ্রেণির ১৭টি পদ থাকলেও মাত্র একজন আধিকারিক ও ৪ জন কর্মী মিলে চালাচ্ছেন দফতরটি। অভিযোগ, মহকুমায় অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শক না থাকায় নানা কাজে জলপাইগুড়িতে যেতে হচ্ছে শিক্ষকদের।

Advertisement

দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা ২৫০ কাছাকাছি। তাতে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী রয়েছেন প্রায় ৩৩০০ জন। তাদের নানা চাকরি সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ই দেখাশোনা করার কথা ওই অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরের। দফতরের এক কর্মী জানান, অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শক নেই। ৩জন এআই থাকার কথা, ৩টি পদই ফাঁকা। তিনজন এসআই থাকার কথা, রয়েছেন মাত্র একজন। আপার ডিভিশন ক্লার্ক থাকার কথা ৩ জন, রয়েছেন ২ জন। লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক থাকার কথা ৪ জন, আছেন ১ জন। তিন জন চতুর্থ শ্রেনির কর্মীর মধ্যে ১ জন রয়েছে। অভিযোগ, পর্যাপ্ত আধিকারিক না থাকায় স্কুল গুলিতে নিয়মিত পরিদর্শন হচ্ছে না।

জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক স্বপন সামন্ত আলিপুরদুয়ারে পরিকাঠামোর খামতির কথা স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, “কর্মী সমস্যার কথা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আগামী জুন মাসে অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শকের নতুন প্যানেল বার হওয়ার কথা। তার পরে আলিপুরদুয়ারের সমস্যা মিটতে পারে।”

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির তরফে আলিপুরদুয়ারের পর্যবেক্ষক কনজ বল্লভ গোস্বামী বলেন, “অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শক না থাকায় নানা ধরেঁর কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে জানানো হয়েছে।” আর নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির আলিপুরদুয়ার মহকুমার সম্পাদক বিদ্যুৎ সরকার বলেন, “পিএফ, ঋণ থেকে পেনশন সংক্রান্ত যে কোনও কাজ জলপাইগুড়ি যেতে হচ্ছে। দ্রুত সমস্যা মেটানো প্রয়োজন।”

শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, মহাকালধাম এলাকায় আগে দফতরটি ছিল। কয়েক মাস আগে তা শহরের প্রধান সড়ক থেকে দুই কিলোমিটার দূরে আলিপুরদুয়ার কলেজিয়েট স্কুলে কয়েকটি ক্লাস রুমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এতে দূরত্ব বেড়েচে দফতরের। অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরের এক মাত্র এসআই গৌতম হালদার বলেন, “তিনজনের এসআই-র মধ্যে আমি একা আছি। দফতরে কোনও গাড়ি না থাকায় স্কুলগুলি পরিদর্শনের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। প্রতি মাসে একজন এসআইয়ের দশটি স্কুল পরিদর্শন করার কথা। তবে তিন বছরে পেরেছি মাত্র ২০টি স্কুল। সবই উপর মহলে জানিয়েছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন