কলেজের গেটে তালা ঝুলিয়ে ভেতরে বসে ছাত্র সংসদের ভোটের ব্যালট ও অন্যান্য নথিতে কারচুপি করার অভিযোগ উঠেছে সিপিএম প্রভাবিত শিক্ষাকর্মী সংগঠনের বিরুদ্ধে।
বুধবার শিক্ষাকর্মীরা ভেতরে থাকাকালীন বেলা ১২টা থেকে প্রায় আড়াই ঘন্টা রায়গঞ্জের সুরেন্দ্রনাথ কলেজের গেট তালাবন্ধ ছিল বলে টিএমসিপির অভিযোগ। তা নিয়ে তদন্ত চেয়ে গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় টিএমসিপি। পুলিশের হস্তক্ষেপে দুপুর আড়াইটা নাগাদ কলেজের এক নিরাপত্তারক্ষী তালা খুলে দেন। কিন্তু, তদন্তের দাবিতে শিক্ষাকর্মীদের কলেজে আটকে রাখেন টিএমসিপি সমর্থকেরা। বেলা ৩টে নাগাদ পুলিশ আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে শিক্ষাকর্মীদের উদ্ধার করে কলেজের বাইরে বার করে দেয়।
ওই কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় এদিন কলেজের ক্লাস স্থগিত ছিল। ফলে কোনও শিক্ষক ও শিক্ষিকা কলেজে যাননি। তবে কলেজের প্রশাসনিক কাজকর্ম চালু থাকায় ৩০ জন শিক্ষাকর্মী কলেজে হাজির ছিলেন। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মধুমিতা রায় জানান, তিনি স্কুল সার্ভিস পরীক্ষার প্রশাসনিক বৈঠকে ব্যস্ত থাকায় এদিন কলেজে যাননি।
সিপিএম প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ কলেজ শিক্ষাকর্মী ইউনিয়নের সুরেন্দ্রনাথ কলেজ ইউনিটের সম্পাদক কার্তিক দাস অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, শিক্ষাকর্মীরা কলেজে নেই ভেবে কলেজের নিরাপত্তারক্ষী ধনেশ্বর সিংহ এদিন ভুল করে কলেজ গেটে তালা দিয়ে বাড়িতে খেতে যাওয়ায় বিপত্তি হয়েছে। তিনি বলেন, “দুপুর আড়াইটা নাগাদ আমাদের কাজকর্ম শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও কলেজের গেট বাইরে থেকে তালাবন্ধ থাকায় আমরাও আটকে পড়ি।” ধনেশ্বরবাবুর অবশ্য দাবি, কলেজে যে শিক্ষাকর্মীরা রয়েছেন, তা তিনি জানতেন। ভুল করে তিনি তালা মেরে বাড়িতে খেতে চলে গিয়েছিলেন।
গত ২৮ জানুুয়ারি সুরেন্দ্র নাথ কলেজের ছাত্র সংসদ ভোটে ৪২ আসনের মধ্যে ২৩টি পায় এসএফআই। টিএমসিপি ১৯টি আসন পায়। কিন্তু, টিএমসিপি উপাচার্যের কাছে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে। বুধবার বেলা ১১টা থেকে প্রায় আধঘন্টা রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড় এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখেন।