উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবকে উপদেষ্টামণ্ডলীর প্রধান করে নির্বাচন পরিচালনার কমিটি গড়লেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার পর্যবেক্ষক সৌরভ চক্রবর্তী। সম্প্রতি জেলার দু’টি লোকসভা কেন্দ্রের ভোট পরিচালনার ভারও দলের তরফে সৌরভবাবুকে দেওয়া হয়। তারপরেই ভোট পরিচালনার জন্য নয়া কমিটি তৈরি করেছেন সৌরভবাবু। দলের প্রাক্তন দুই সভাপতি কল্যাণ চক্রবর্তী এবং কৃষ্ণকুমার কল্যাণীকেও কমিটিতে রাখা হয়েছে। ময়নাগুড়ি বিধানসভা উপ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কল্যাণবাবুকে। লোকসভা ভোটে রাজগঞ্জ এলাকা পরিচালনার ভার দেওয়া হয়েছে কৃষ্ণবাবুকে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতমবাবুকে উপদেষ্টামণ্ডলীর শীর্ষে রেখে, প্রাক্তন জেলা সভাপতিদের বিধানসভা ভিত্তিক দায়িত্ব দিয়ে দলের অন্দরে ঐক্যের বার্তাই দেওয়া হল। সোমবার রাতে কলকাতায় দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায় এবং সভাপতি সুব্রত বক্সির সঙ্গে আলোচনা করেই জেলার নির্বাচনী কমিটি চূড়ান্ত হয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২২ মার্চ জলপাইগুড়িতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে কর্মিসভা করে প্রস্তাবিত কমিটি ঘোষণা করা হবে। দলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা প্রদেশ যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি সৌরভবাবু বলেন, “কমিটিতে প্রবীণ ও নবীনের সমন্বয় থাকবে। দলনেত্রীর সঙ্গেও কথা হয়েছে। কমিটির উপদেষ্টা মণ্ডলীর প্রধান হিসেবে থাকবেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী।”
প্রস্তাবিত কমিটিতে বিধায়ক, পুরসভা ও পঞ্চায়েত প্রধান, দলের বিভিন্ন গণ সংগঠনের সভাপতিরা থাকবেন। গত ১১ মার্চ জলপাইগুড়ির আর্ট গ্যালারির কর্মিসভায় প্রদেশ তৃণমূল সভাপতি সৌরভবাবুকে জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পরিচালনার ভার দেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের সঙ্গেই জেলার দু’টি বিধানসভা উপনির্বাচনের কাজ পরিচালনার দায়িত্ব দলের প্রবীণ নেতৃত্বের উপরে ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। এ ছাড়াও অন্য বিধানসভাগুলির দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। সৌরভবাবু বলেন, “দলের মধ্যে কোনরকম দলাদলি বরদাস্ত হবে না।”
জঞ্জাল ফেলে প্রতিবাদ। হলদিবাড়ি পুরসভার বিরুদ্ধে জঞ্জাল সাফাই-এর কাজ সঠিকভাবে না করার অভিযোগ তুলে রাস্তায় জঞ্জাল ফেলেই প্রতিবাদ করলেন বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকালে হলদিবাড়ি শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। বাসিন্দারা নর্দমার জঞ্জাল তুলে রাস্তায় ছড়িয়ে দেন। বাবুপাড়ায় রেজিস্ট্রি অফিসের মোড় থেকে গার্লস স্কুল পর্যন্ত এলাকার দুপাশের নালার জঞ্জাল তুলে ফেলে রাস্তায় ছড়িয়ে সরব হন বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে পুরসভা সঠিকভাবে সাফাই-এর কাজ করছে না। এ দিন এরই প্রতিবাদ করা হয়েছে। পুরসভার কর্মীরা এসে জঞ্জাল সরিয়ে রাস্তা সাফ করেন।