ক্যাথলিক গির্জা।—নিজস্ব চিত্র।
মালবাজারের ক্যাথলিক গির্জার ৭৫তম বর্ষ উদ্যাপিত হল রবিবার। সারা দিন ডুয়ার্সের অন্যতম পুরনো ওই গির্জাটি ঘিরে শহরে ছিল উত্সবের মেজাজ। মালবাজার শহর লাগোয়া ২০টিরও বেশি চা বাগান থেকে প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি খ্রীষ্টধর্মাবলম্বীরা এ দিন চার্চের উত্সবে যোগ দেন। মালবাজার পুর এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের এই চার্চের ধর্মীয় প্রার্থনার পৌরহিত্য করেন জলপাইগুড়ি জেলার প্রধান বিশপ ক্লিমন্ট তির্কি। জেলার ২০টিরও বেশি বিভিন্ন গির্জার প্রধান ধর্মযাজকেরাও উত্সবে যোগ দেন। সেখান থেকেই নতুন ধর্মযাজকের অভিষেক অনুষ্ঠানও আয়োজিত হয়। মালবাজারের রাঙামাটির বাসিন্দা যুবক অস্কার টিগ্গাকে এ দিন বিশপ ক্লিমন্ট তির্কি ধর্মযাজক হিসাবে অভিষিক্ত করেন। মালবাজারের গির্জার ঐতিহ্যকে পরবর্তী প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যেও এদিন বিশপ আর্জি জানান।
স্বাধীনতারও আগে যখন মালবাজার এবং লাগোয়া চা বাগানগুলিতে ইংরেজদের আধিক্য ছিল, সে সময়ই মালবাজারে চার্চ তৈরি করা হয়। রেভারেণ্ড অ্যামব্রোস গ্যালবাইটির নেতৃত্বে মালবাজার গির্জা তৈরি হয়। তিনিই ছিলেন শহরের প্রথম বিশপ। সেদিনের স্মৃতিচারণায় আদিবাসী বিকাশ পরিষদের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মালবাজার ক্যাথলিক গির্জার প্লাটিনাম জয়ন্তী উত্সব কমিটির উপদেষ্টা তেজকুমার টোপ্পো বলেন, “দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে মালবাজার গির্জা লাগোয়া এলাকায় ছিল ইউরোপিয়ান ক্লাব। সাহেব সুবোরা সেখানে নিয়মিত গল্ফ খেলতেও আসতেন। ১৯৩৭ সালে গির্জার চৌহদ্দির ভিতরেই তৈরি হয় মালবাজার মিশন প্রাথমিক স্কুল যা এখনও চলছে। গির্জার চৌহদ্দির ভেতরেই ১৯৩৭ এ তৈরি হয় মালবাজার মিশন প্রাথমিক স্কুল যা এখনো চলছে। এরপর গির্জার ভেতরে বার্থেলোমিও হিন্দি আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ও স্থাপিত হয়। এ দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন নাগরাকাটার বিধায়ক জোশেফ মুণ্ডাও। ছিলেন স্কুলের পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকেরাও।