তৈরি হল ছয় সদস্যের দল

গ্রন্থাগারগুলির হাল ফেরাতে সমীক্ষার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য

কোথাও চেয়ার-টেবিলের জীর্ণ দশা। কোথাও ভেঙে পড়েছে বই রাখার আলমারি। হাতে গোনা পাঠক সদস্য নিয়ে কোনওমতে ধুকে ধুকে চলছে জেলার অধিকাংশ গ্রন্থাগার। অভিযোগ, বাম আমলেও হাজার আবেদন করে বরাদ্দ পায়নি গ্রন্থাগারগুলি। তৃণমূল সরকার গঠনের পরেও তার কোনও পরিবর্তন হয়নি। এবার এই গ্রন্থাগারগুলির হাল ফেরাতে জেলাজুড়ে সমীক্ষার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৫৬
Share:

কোথাও চেয়ার-টেবিলের জীর্ণ দশা। কোথাও ভেঙে পড়েছে বই রাখার আলমারি। হাতে গোনা পাঠক সদস্য নিয়ে কোনওমতে ধুকে ধুকে চলছে জেলার অধিকাংশ গ্রন্থাগার। অভিযোগ, বাম আমলেও হাজার আবেদন করে বরাদ্দ পায়নি গ্রন্থাগারগুলি। তৃণমূল সরকার গঠনের পরেও তার কোনও পরিবর্তন হয়নি। এবার এই গ্রন্থাগারগুলির হাল ফেরাতে জেলাজুড়ে সমীক্ষার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এর জন্য ছয় সদস্যের একটি দল তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা জেলার প্রত্যেকটি গ্রন্থাগারে ঘুরে হাল খতিয়ে দেখবেন। কোন গ্রন্থাগারে কি কি বই রয়েছে তার তালিকা তৈরি করবেন। সে ব্যাপারে একটি রিপোর্ট তৈরি করে রাজ্য সরকারের কাছে জমা দেবেন।

Advertisement

কোচবিহার জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক দেবব্রত দাস বলেন, সরকারের নির্দেশে সমীক্ষার কাজ শুরু করা হয়েছে। যে উদ্দেশ্য নিয়ে গ্রন্থাগার তৈরি হয়েছিল তার কতটা সফল হয়েছে, না হলে কেন হয়নি তা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে জমা দিতে হবে।” তিনি দাবি করেন, “২০১৪-১৫ সালে গ্রন্থাগারগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ২ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আগের থেকে এখন অনেক বেশি পরিমাণে টাকা আসছে। গ্রন্থাগারগুলি আবেদন করলে তাদের টাকা দেওয়া হচ্ছে।”

প্রশাসন সূত্রের খবর, মূলত আশির দশক থেকে জেলায় জেলায় সরকারি গ্রন্থাগার গড়ে উঠতে শুরু করে। গ্রন্থাগার নিয়ে মানুষের মধ্যে উত্‌সাহও তৈরি হয়। সরকারি সাহায্যে অনেক গ্রন্থাগার ইটের বাড়ি তৈরি করা হয়। পাঠক সংখ্যা বাড়তে থাকে। কিন্তু গত দশ পনেরো বছর ধরেই ভাটা পড়েছে এই উত্‌সাহে। বহু জায়গায় গ্রন্থাগারগুলি পার্টি অফিসে পরিণত হয় বলেও অভিযোগ। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরও গ্রন্থাগার নিয়ে তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলেও অভিযোগ।

Advertisement

কোচবিহার জেলায় ১০৯ টি গ্রন্থাগার রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলির অবস্থাই বেহাল। কোচবিহার টাউন লাইব্রেরির ভগ্নপ্রায় দশা। দিনে দিনে সেখানে কমছে পাঠক সংখ্যা। চ্যাংরাবান্ধা টাউন গ্রন্থাগারের অবস্থাও তথৈবচ। কাঠের বাড়িটি যে কোনও মুহুর্তে ভেঙে পড়তে পারে। জীর্ণ অবস্থা বুড়িরহাট গ্রামীণ গ্রন্থাগারের। বেহাল ঘুঘুমারি গ্রন্থাগারও। ভাঙা আলমারিতেই বই রাখা হচ্ছে অধিকংশ গ্রন্থাগারে।

এখানেই শেষ নয়। বহু গ্রন্থাগারেই কর্মীর সংখ্যা হাতে গোনা। এক গ্রন্থাগারিক দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দুই জায়গায়। ফলে বেশ কয়েকটি গ্রন্থাগার সপ্তাহে অর্ধেক দিন বন্ধ থাকছে বলেও অভিযোগ। গ্রন্থাগার আধিকারিক অবশ্য দাবি করেন, জমি নিয়ে সমস্যার জন্য েকাচবিহার টাউন ও চ্যাংরাবান্ধা টাউন গ্রন্থাগারের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন আটকে রয়েছে। বাকিগুলির ক্ষেত্রে কেন পরিকাঠামোর অবনতি, সে বিষয়ে তিনি খোঁজ নেবেন বলে জানিয়েছেন।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ওই সমীক্ষার কাজ শুরু করা হবে। সোমবার জেলা গ্রন্থাগারে বিষয়টি নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সমীক্ষক দলকে সংশ্লিষ্ট গ্রন্থাগারের পাঠক সংখ্যা, পরিকাঠামোগত অবস্থা, ও বইপত্র নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে বলা হয়েছে। সমীক্ষক দলের দায়িত্বে থাকা পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “তিন মাসের মধ্যে আমরা সমীক্ষার রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট দফতরের হাতে জমা দেব।”

অস্ত্র-সহ ধৃত। ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল দলটি। কিন্তু শেষরক্ষা হলনা। তার আগেই দলের ছ’ জনকে গ্রেফতার করল নিউ জলপাইগুড়ি ফাঁড়ির পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে নিউ জলপাইগুড়ি লাগোয়া ভালবাসা মোড় থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ওই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হয়। কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল, দু’রাউন্ড গুলি, কয়েকটি কাটারি, দুটো মোবাইল ফোন, কয়েকটি ‘মাস্টার কি’, রড ও তালা ভাঙার সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা বেশির ভাগই বিহার ও অসমের বাসিন্দা। প্রত্যেকেই চুরি, ডাকাতি, বাইক চুরি, ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। শিলিগুড়ি, ভক্তিনগর, প্রধাননগর, মাটিগাড়া থানায় এদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। প্রত্যেকেই কোনও না কোনও সময় জেলে ছিল। শিলিগুড়ি পুলিশের (এসিপি পূর্ব) তপন আলো মিত্র বলেন, “জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন