গঙ্গারামপুরে ডাকাতি, ধরা পড়েনি কেউ

দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের বড়বাজার এলাকায় সোনার দোকানে ডাকাতিতে জড়িতদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বুধবার স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির ডাকে গঙ্গারামপুরে ১২ ঘণ্টা ব্যবসা বনধ পালন করে ঘটনার প্রতিবাদ জানান ব্যবসায়ীরা। ডাকাতিতে জড়িত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার এবং লুঠের অলঙ্কার উদ্ধারের দাবিতে এ দিন শহরে বিক্ষোভ মিছিলও করেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:২৬
Share:

ডাকাতির প্রতিবাদে গঙ্গারামপুরে ব্যবসা বনধ। বুধবার অমিত মোহান্তের তোলা ছবি।

দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের বড়বাজার এলাকায় সোনার দোকানে ডাকাতিতে জড়িতদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বুধবার স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির ডাকে গঙ্গারামপুরে ১২ ঘণ্টা ব্যবসা বনধ পালন করে ঘটনার প্রতিবাদ জানান ব্যবসায়ীরা। ডাকাতিতে জড়িত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার এবং লুঠের অলঙ্কার উদ্ধারের দাবিতে এ দিন শহরে বিক্ষোভ মিছিলও করেন তাঁরা।

Advertisement

শহরের চৌপথীতে আধঘণ্টা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে থানার পুলিশ কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দিয়ে নিরাপত্তার দাবিতে সরব হন বণিকমহল।

গঙ্গারামপুর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কমলেশ ফৌজদার অভিযোগ করেন, “সাধারণ ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে ডাকাতির মাল উদ্ধার করতে হবে। নাহলে বড় আন্দোলন হবে।” তবে ডাকাতিতে জড়িত দুষ্কৃতীদের ধরতে জেলা পুলিশ চিরুণি তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে। রাত থেকেই মালদহে গিয়ে ঘাঁটি গেড়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিহারেও পুলিশের বিশেষ একটি দল গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, মালদহ এবং বিহারের দুষ্কৃতীরা ওই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত বলে পুলিশ তদন্তে জেনেছে। সোমবার সন্ধেয় স্থানীয় দুষ্কৃতীদের সহযোগিতায় মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়া, আড়াইডাঙা এবং বিহারের কাটিহার থেকে দলটি পরিকল্পনা মতো পর পর বোমা ফাটিয়ে গঙ্গারামপুরের বড়বাজার এলাকা কব্জা করে। ওই সোনার দোকানে ডাকাতি করে পুলিশকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়ে লুঠের মাল নিয়ে পুনর্ভবা নদী পেরিয়ে পালায়। জেলা পুলিশ সুপার শীসরাম ঝাঁঝারিয়া বলেন, “ডাকাত দলটিকে সনাক্ত করা গিয়েছে। তাদের ধরতে তল্লাশি জারি রয়েছে।”

এ দিন গঙ্গারামপুরে কুকুর এনে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পুনর্ভবা নদীর দিকে একটি গলির রাস্তা দিয়ে কিছুটা গিয়ে পুলিশ কুকুর খেই হারিয়ে ফেলে। ওই গলির রাস্তা দিয়েই দুষ্কৃতীরা ডাকাতি করে পালিয়েছিল বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। স্থানীয় দুষ্কৃতীদের খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement