চাঁচলে গুলিবিদ্ধ ঠিকাদার

বাজার থেকে মোটরবাইকে বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হলেন শ্রমিক সরবরাহকারী এক ঠিকাদার। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিহার লাগোয়া হোসেনপুর এলাকায় সোমবার রাতে ওই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, ওই ঠিকাদারের নাম নিহারুল শেখ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৪ ০২:০১
Share:

বাজার থেকে মোটরবাইকে বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হলেন শ্রমিক সরবরাহকারী এক ঠিকাদার। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিহার লাগোয়া হোসেনপুর এলাকায় সোমবার রাতে ওই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, ওই ঠিকাদারের নাম নিহারুল শেখ। তিনি দিল্লিতে থাকেন। সেখানে নির্মাণ সংস্থায় ঠিকাদারদের কাজ দেখভাল করেন। দিন কয়েক আগে বাড়িতে এসেছিলেন। হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি বাবিন মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রতিবেশী মাসুদ আলম-সহ ভাড়াটে দুই দুষ্কৃতীর খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।”

Advertisement

নিহারুল শেখকে প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতাল ও সেখান থেকে পরে মালদহের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। রাতে তার অস্ত্রপচারও করা হয়েছে। প্রতিবেশীর সঙ্গে ঘরোয়া বিবাদের জেরে তাকে খুন করতেই ওই হামলা চালানো হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এজন্য লাগোয়া বিহারের ভাড়াটে দুই দুষ্কৃতীকে কাজে লাগানো হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে তারা।

পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে গিদরমারি বাজার থেকে মোটরবাইকে খুড়তুতো ভাই নেপালি শেখ ও ভাইপো খুরশেদ আলিকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন নিহারুল। সেই সময়ে কেউ রাস্তায় তার নাম ধরে ডাকে। মোটরবাইক থামাতেই তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে দুই দুষ্কৃতী। পাইপগান দেখে নেপালি ভয় পেয়ে পালায়। মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভাইপো খুরশেদ ও নিহারুলকে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। খুরশেদ তাদের হাত ছাড়িয়ে পালাতেই নিহারুলের গলায় পাইপগান চেপে গুলি করা হয়। ধ্বস্তাধ্বস্তিতে গুলি লাগে তার ডান গালে। তারপর তার মোটরবাইকে চেপে দুই দুষ্কৃতী পালায়। ওই অবস্থাতেই চিত্‌কার করে ছুটতে থাকেন নিহারুল। পরে তাঁর পরিবারের লোকজন ও এলাকার বাসিন্দারা এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহারুল শেখের দুই স্ত্রী হোসেনপুরেই থাকেন। বেশ কিছুদিন আগে প্রথমা স্ত্রী আনোয়ারা বিবির সঙ্গে প্রতিবেশী মাসুদ আলমের সম্পর্ক তৈরি হয়। দু’সপ্তাহ আগে মাসুদের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান আনোয়ারা। তা জেনে দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরেন নিহারুল। স্ত্রী ও মাসুদ কোথায় আছেন, তা নিয়ে খোঁজ শুরু করেন তিনি।

পুলিশের দাবি, নিহারুলকে না সরালে গ্রামে ফেরা সম্ভব নয় বুঝতে পেরে ভাড়াটে দুষ্কৃতীদের দিয়ে তাকে খুন করানোর পরিকল্পনা করেছিল মাসুদ। যদি নার্সিংহোমে শুয়ে নিহারুল পুলিশকে জানান, কারা কী উদ্দেশ্যে তার উপর হামলা করেছিল, তা তিনি জানেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন