রাস্তায় গাড়ি আটকে পুজোর চাঁদা তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা ছিলই। এ বারে এলাকার কোনও নতুন বাড়ি বা ভাড়াটের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় রোধে কড়া পদক্ষেপ করবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বালুরঘাটের নাট্যতীর্থ মঞ্চে আয়োজিত বৈঠকে পুজো কমিটির উদ্যোক্তা ও প্রতিনিধিদের ওই কথা জানানো হয়। জেলাশাসক তাপস চৌধুরী বলেন, “পাড়ায় নতুন ভাড়াটে বা নতুন বাড়িওয়ালার কাছ থেকে পুজোর চাঁদার নামে মোটা অঙ্কের টাকা আদায়ের অভিযোগ ইতিমধ্যে মৌখিকভাবে পাওয়া গিয়েছে। এ রকম ঘটনার সঙ্গে পুজো উদ্যোক্তারা জড়িত না থাকতে বলা হয়েছে। এমন ঘটলে তা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।”
এ দিন জেলার পুজো প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত ওই বৈঠকে আয়োজকদের বেশ কিছু ব্যবস্থার উপর গুরুত্ব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। পাশাপাশি, পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, প্রতিটি পুজো মণ্ডপে ন্যূনতম অগ্নিনির্বাপক ও রাত পাহারার ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। মণ্ডপে জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সমাজ সচেতনতা বিষয়ে নানা ধরণের স্লোগান লিখে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। এ কাজে নজরকাড়া পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে পুরস্কৃত করা হবে। এ ছাড়া বিগ বাজেটের পুজোয় মহিলা ও পুরুষ দর্শনার্থীদের মণ্ডপে ঢোকা ও বেরনোর আলাদা ব্যবস্থা রাখতেও বলা হয়েছে। পুজোর দিনগুলিতে জেলাজুড়ে প্রায় ৪৮০০ সিভিক ভলান্টিয়ার্সদের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগানো হবে বলে জেলাশাসক জানিয়েছেন। মণ্ডপ চত্বরে আলোকসজ্জায় বিদ্যুত্ ব্যবহারের উপরও পুজো উদ্যোক্তাদের বিদ্যুতের ‘লোড-ক্ষমতা’ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বন্টন কোম্পানির কর্তৃপক্ষকে আগাম জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।