চা নিলাম কেন্দ্রের হাল ফেরাতে ভ্যাট ছাড়ের আর্জি

চা পাতার অভাবে ফের সঙ্কটে জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র। চায়ের আমদানি কমে যাওয়ায় নিলাম বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে এই চা নিলাম কেন্দ্রে। পরিস্থিতি সামলাতে নিলাম কেন্দ্রের পরিচালন কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক করে রাজ্য সরকারের কাছে ভ্যাট ছাড় দেওয়ার আর্জি জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একই সঙ্গে চা পর্ষদের কাছেও এই কেন্দ্রে চা পাঠানোর আর্জি জানানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৪ ০২:১৬
Share:

চা পাতার অভাবে ফের সঙ্কটে জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র। চায়ের আমদানি কমে যাওয়ায় নিলাম বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে এই চা নিলাম কেন্দ্রে। পরিস্থিতি সামলাতে নিলাম কেন্দ্রের পরিচালন কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক করে রাজ্য সরকারের কাছে ভ্যাট ছাড় দেওয়ার আর্জি জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একই সঙ্গে চা পর্ষদের কাছেও এই কেন্দ্রে চা পাঠানোর আর্জি জানানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

Advertisement

চা নিলাম কেন্দ্রের সচিব নিরঞ্জনকুমার বসু বলেন, “যে ভাবে চায়ের আমদানি কমেছে, তাতে নিলাম কেন্দ্র খুলে রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে। নিলাম কেন্দ্রকে চাঙ্গা করতে রাজ্য সরকারের কাছে ভ্যাট ছাড়ের আর্জি জানানো হয়েছে। চা পর্ষদকেও হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানাবে কমিটি।”

জন্মলগ্ন থেকেই চা পাতা জোগানের সমস্যায় ভুগছে এই কেন্দ্র। ২০০৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি চালু হওয়ার পর থেকে আইটিপিএ ভবনে তৈরি ওই প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে অনিশ্চয়তার শুরু। চায়ের জোগান কমে যাওয়ায় উদ্বোধনের পরের বছরেই নিলাম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। ২০০৮ সালে নিলাম বন্ধ হয়ে যায়। তারপরে বিভিন্ন মহলের আন্দোলন, আর্জির পরে ২০১২ সালে ফের নিলাম চালু হলেও মাত্র দু’বছরের মধ্যে ফের সঙ্কট ঘনীভূত হয়েছে।

Advertisement

নিলাম কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার মাত্র সাতশো কেজি চা নিলামে এসেছিল। যদিও, নিলাম চালাতে প্রতিদিন ন্যুনতম দু’ হাজার কেজি চা পাতা প্রয়োজন হয়। আর ভাল ভাবে নিলাম চালাতে প্রতি নিলামে প্রয়োজন হয় পাঁচ হাজার কেজি চা পাতার। গত মঙ্গলবার মাত্র সাতশো কেজি চা পাতা দিয়ে নিলাম চালানো হলেও, বেশিদিন এ ভাবে সম্ভব নয় বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে। নিলাম কেন্দ্রের সচিব বলেন, “এই কেন্দ্রে চা পাঠানোর জন্য একাধিকবার বিভিন্ন মহলে অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। অনেক কষ্টে এই নিলাম কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটি বাঁচানোর দায়িত্ব সকলকেই নিতে হবে।”

চা উত্‌পাদক এবং বিক্রির সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলির বক্তব্য, নিলাম কেন্দ্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধে না পাওয়ার কারণেই সঙ্কট কাটছে না। ভ্যাট এবং বিক্রয় কর ছাড়ের সুযোগ দিলে নিলাম কেন্দ্রটি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে তাঁদের দাবি। জলপাইগুড়ি ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “প্রতিষ্ঠানটিকে দাঁড় করানোর জন্য ভ্যাট ছাড়ের সুযোগ রাখা জরুরি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও আরও কিছু সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবতে হবে।”একই দাবি বটলিফ কারখানা মালিক সংগঠনের সভাপতি সঞ্জয় ধানুটিয়ারও। নিলাম কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনের সভায় ১২জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন