চেয়ারম্যান নিয়ে মতানৈক্য তৃণমূলেই

পুর চেয়ারম্যান কে হবেন তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হল না কোচবিহারে। বীরেন কুণ্ডুুর প্রয়াণে খালি হওয়া ওই পদে কে বসবেন তা নিয়ে টানাপড়েন চলছে তৃণমূল শিবিরেই। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে স্থায়ী চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্য বোর্ড মিটিং হবে। তবে ওই পদের দাবিদার তৃণমূলের দুই শিবিরই যুযুধান। তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রয়াত পুর চেয়ারম্যানের অনুগামীরা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপক ভট্টাচার্যকে ওই পদে বসানোর দাবি জানিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৪ ০২:৩৩
Share:

পুর চেয়ারম্যান কে হবেন তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হল না কোচবিহারে। বীরেন কুণ্ডুুর প্রয়াণে খালি হওয়া ওই পদে কে বসবেন তা নিয়ে টানাপড়েন চলছে তৃণমূল শিবিরেই।

Advertisement

চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে স্থায়ী চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্য বোর্ড মিটিং হবে। তবে ওই পদের দাবিদার তৃণমূলের দুই শিবিরই যুযুধান। তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রয়াত পুর চেয়ারম্যানের অনুগামীরা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপক ভট্টাচার্যকে ওই পদে বসানোর দাবি জানিয়েছেন। বর্তমান কার্যনিবাহী চেয়ারপার্সন আমিনা আহমেদকে ওই পদে দেখতে চাইছেন দলেরই অন্য গোষ্ঠীর কাউন্সিলরেরা। এই পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যানের নাম চূড়ান্ত করতে রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন দুই শিবিরের নেতারা। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বীরেনবাবুর পারলৌকিক ক্রিয়া হয়নি। তাই সকলে শোকের আবহে আছেন। বোর্ড মিটিংয়ের তারিখ চূড়ান্ত হলে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে স্থায়ী চেয়ারম্যানের নাম চূড়ান্ত করা হবে।”

কোচবিহার পুরসভার মোট আসন ২০টি। গত পুরভোটের পর কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট করে কোচবিহারে বোর্ড গড়েছিল। কংগ্রেসের বীরেনবাবু চেয়ারম্যান, ও তৃণমূলের আমিনা আহমেদ ভাইস চেয়ারপার্সন হন। গত বছর দীপক ভট্টাচার্য-সহ সমস্ত আট কংগ্রেস কাউন্সিলরকে নিয়ে বীরেনবাবু তৃণমূলে যোগ দেন। গত সপ্তাহে কোচবিহার পুরসভার প্রায় দুই দশকের চেয়ারম্যান বীরেন কুণ্ডু দিল্লিতে চিকিসাধীন অবস্থায় মারা যান। এখন মোট কাউন্সিলর আছেন ১৯ জন। তার মধ্যে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ১৪ জন ও বামফ্রন্টের ৫ জন। বীরেনবাবুর মৃত্যুর পরে কার্যনিবাহী চেয়ারম্যান কে হবেন তা নিয়ে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে আসে। তৃণমূল সূত্রে খবর, বীরেনবাবুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দীপক ভট্টাচার্যকে কার্যনিবাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে কোচবিহারের সদর মহকুমা শাসকের দফতরে চিঠি দেন দলের ৯ জন কাউন্সিলর। তারপরেও পুর আইন মেনে ভাইস চেয়ারপার্সন হিসাবে গত বৃহস্পতিবার পুরসভা দফতরে ঢোকার সময় অস্থায়ী কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন আমিনা আহমেদ। এর পরেই ২০১৬ সালের পুরভোটের কথা মাথায় রেখে দলের গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে জেলা নেতাদের তরফে দুই শিবিরকে নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছনোর ব্যাপারে নানা চেষ্টা হয়। তৃণমূলের অন্দরের খবর, কোনও শিবিরই নিজেদের দাবি থেকে সরতে রাজি হয়নি। যার জেরে দুই শিবির রাজ্য নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেন।

Advertisement

বীরেনবাবুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূল কাউন্সিলর দীপক ভট্টাচার্য বলেন, “৯ জন কাউন্সিলর আমাকে কার্যনিবাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্বে চেয়ে প্রশাসনে চিঠি দিয়েছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী ২৭ অগস্টের মধ্যে স্থায়ী চেয়ারম্যান নিয়োগে বোর্ড মিটিং হওয়ার কথা। দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে ওই বৈঠকেই যা হওয়ার হবে।” পুরসভার কার্যনিবাহী চেয়ারপার্সন আমিনা আহমেদ বলেন, “নিয়ম মেনে পদ পূরণের জন্য বোর্ড মিটিং ডাকা হবে। বৈঠক ডাকার ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের তরফে চিঠিও পেয়েছি। দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন