২৫ ডিসেম্বর থেকে চালু হবে কেন্দ্রটি। —নিজস্ব চিত্র।
পিকনিক করতে রায়মাটাঙে এসে মদ্যপান বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছেন বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, পর্যটক বা কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দারা পিকনিক করতে এসে মদ্যপান করেন। তা নিয়ে মাঝেমধ্যেই গোলমাল হয়। ২০১২ সালে মদ্যপান নিয়ে ঝামেলার জেরে এলাকায় চড়ুইভাতি বন্ধ করে দেওয়া হয়। চলতি মাসের শেষের থেকে ফের চড়ুইভাতির অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। রায়মাটাং পানা রেঞ্জের রায়মাটাং পাহাড়ের উপর প্রায় দেড়শো বর্গমিটার এলাকা নিয়ে তৈরি চড়ুইভাতি কেন্দ্রটি পর্যটকদের কাছেও যথেষ্ট জনপ্রিয়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিএফডি অপূর্ব সেন বলেন, “রায়মাটাং পিকনিক স্পটটির চারদিকে জঙ্গল রয়েছে। সেখানে হাতি-সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীর আনাগোনা রয়েছে। অনেকেই মদ খেয়ে সেখানে বোতল ভেঙে রাখতেন। এতে বন্যপ্রাণীর জখম হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এবার স্থানীয় ইকো ডেভেলপমেন্ট কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে এলাকায় মদ্যপান নিষিদ্ধ করেছে।”
এলাকার বাসিন্দা সরযু কার্কি, রাজেন ছেত্রীরা জানান, রায়মাটাং বনবস্তি কালচিনি ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকায় ৯৫টি পরিবার রয়েছে। ২০০৩ সালে ‘পিকনিক স্পট’ তৈরি হয়। ২০১১ সালে প্রায় ১ লক্ষ ৮৩ লক্ষ টাকা আয় হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। যদিও, মদ্যপদের ঝামেলা লেগেই থাকত বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যদি কেউ মদ্যপান করতে বসেন তাহলে সদস্যরা মদের বোতল কেড়ে নেবে। সেই পিকনিকের দল ফিরে যাওয়ার সময় সেই বোতল ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। সরযুবাবু বলেন, “আগামী ২৫ ডিসেম্বর ফের কেন্দ্রটি চালু হতে চলেছে। বাঁশ দিয়ে দোলনা ও বসার জায়গা বানানো হচ্ছে।”