কোচবিহারে রেল অবরোধ। মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চড় মারার প্রতিবাদে ও দোষীর শাস্তি চেয়ে উত্তরবঙ্গের ৭ জেলায় তৃণমূলের বিক্ষোভ-মিছিল চলছেই। তার জেরে বিভিন্ন জায়গাতেই ভোগান্তিতেও পড়েছেন নিত্যযাত্রী-সহ সাধারণ যাত্রীরা।
সোমবারও আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে মিছিল হয়। শিলিগুড়িতেও দলের তরফে মিছিল হয়েছে। আলিপুরদুয়ার দুর্গাবাড়ি এলাকা থেকে মিছিল শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরে। এ দিন দুপুরে ইসলামপুরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এর তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে সেই বিক্ষোভ মিছিল হয়। ইংরেজবাজারের রথ বাড়িতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় যুব তৃণমূল কংগ্রেস। ওই হামলার প্রতিবাদে কোচবিহারে ফের অবরোধ হয়। বামনহাট-শিলিগুড়িগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেন আটকে পড়ে। কোচবিহার-তুফানগঞ্জ রুটেও যান চলাচল ব্যাহত হয়। ভোগান্তিতে পড়েন নিত্যযাত্রীরা।
এ দিন রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ ও ইটাহারে বিক্ষোভ মিছিল করে তৃণমূল। এ দিন দুপুরে তৃণমূলের কয়েকশো কর্মী সমর্থক হেমতাবাদের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। একই সময়ে কালিয়াগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল করার পর বিবেকানন্দ মোড় এলাকার রায়গঞ্জ বালুরঘাট রাজ্যসড়ক প্রায় একঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। বিকেলে রায়গঞ্জ শহর ও ইটাহার ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করে ওই ঘটনার ধিক্কার জানান তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য বলেন, “জেলার সর্বত্র সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে অভিষেকের উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অভিষেক রাজনৈতিক রোষের শিকার হয়েছেন।”