ছোটা ভীম থেকে ভূতের নাচ এ বার দেখা যাবে কোচবিহারে

কোথাও ছোটা ভীম, যজ্ঞু কিংবা ডোরেমনের কোলে চড়ে প্রতিমা দর্শনের হাতছানি। কোথাও আবার আলোকসজ্জা কিংবা রঙ-তুলির টানে সাজানো টম, জেরি, গণেশ থেকে মিকিমাউস। কোথাও আবার দেখা যাবে কঙ্কাল ভূতের নাচ। এ বার পুজোয় কোচবিহারে একাধিক পুজো কমিটিই ছোটদের কথা মাথায় রেখে মণ্ডপ সজ্জায় উদ্যোগী। তাই শহরের একাধিক পুজো মণ্ডপে সূদূর ‘ঢোলকপুর’ থেকে হাজির হচ্ছে ছোটা ভীম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:১৪
Share:

কোথাও ছোটা ভীম, যজ্ঞু কিংবা ডোরেমনের কোলে চড়ে প্রতিমা দর্শনের হাতছানি। কোথাও আবার আলোকসজ্জা কিংবা রঙ-তুলির টানে সাজানো টম, জেরি, গণেশ থেকে মিকিমাউস। কোথাও আবার দেখা যাবে কঙ্কাল ভূতের নাচ।

Advertisement

এ বার পুজোয় কোচবিহারে একাধিক পুজো কমিটিই ছোটদের কথা মাথায় রেখে মণ্ডপ সজ্জায় উদ্যোগী। তাই শহরের একাধিক পুজো মণ্ডপে সূদূর ‘ঢোলকপুর’ থেকে হাজির হচ্ছে ছোটা ভীম। ‘দুষ্টুমি’ না করলে তাঁদের কেউ কেউ আবার মণ্ডপে আসা শিশুদের কোলে নিয়ে প্রতিমাও দেখাবেন। সব মিলিয়ে শৈশব-কৈশোরের কার্টুনের নায়ক থেকে কল্পনার জগত্‌ মিলেমিশে একাকার হওয়ার উপক্রম। উদ্যোক্তাদের আশা, নজরকাড়া ওই আয়োজন ঘিরেই দর্শনার্থী টানার লড়াইয়ে বাজিমাত করবেন তাঁরা। তাঁদের যুক্তি, অভিভাবকেরা ছোটদের পছন্দের টান এড়াতে পারবেন না।

পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, কোচবিহার শহরের বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে এ বার শান্তিকুটির ক্লাব ও ব্যায়ামাগারের সুবর্ণ জয়ন্তীবর্ষ। প্রতি বছর ছোটদের জন্য নজরকাড়া কিছু করার ভাবনা থাকে তাঁদের। এ বছর তাই একটু ‘বড়’ করেই আয়োজন করছেন তাঁরা। ওই পুজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মণ্ডপের প্রবেশ পথে তিনটি কার্টুন ‘নায়ক’ হাজির থাকবেন সশরীরে। তাঁরা অভিভাবকদের সঙ্গে থাকা আগ্রহী ছোটদের কোলে করে প্রতিমা দেখাবেন।

Advertisement

ওই পুজো কমিটির সম্পাদক রাকেশ চৌধুরী বলেন, “উত্‌সব প্রাঙ্গণ প্রাণবন্ত করে তোলে ছোটরাই। তাই ওদের কথা বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হয়েছে। মাথাভাঙা থেকে তিনজন বহুরূপী শিল্পী আসছেন। তাঁরাই ছোটা ভীম, যজ্ঞু, ডোরেমন সেজে পুজো প্রাঙ্গণে থাকবেন। ছোটদের মধ্যে আগ্রহী সকলকেই কোলে নিয়ে প্রতিমা দেখাবেন। এতে শিশুরা যেমন আনন্দ পাবে, অভিভাবকদেরও ভিড় হবে।”

শহরের অন্য প্রান্তে এসিডিসি ক্লাবের পুজোতেও হাজির থাকছে ছোটাভিম। সঙ্গে কালিয়া, যজ্ঞু, রাজু কিংবা মিকিমাউস, গণেশা। আলোকসজ্জায় ছোটদের ওই সব প্রিয় কার্টুনের নায়কদের নানা কর্মকাণ্ডের খণ্ডচিত্র ফুটে উঠবে। ওই ক্লাবের সভাপতি নাটাবাড়ির বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “ছোটদের মুখে হাসি ফোটাতেই ওই ভাবনা।”

২ নম্বর কালীঘাট রোড এলাকার বেলতলা ইউনিট এর আগে আস্ত ‘ঢোলকপুর’ গ্রাম থিম করে নজর কেড়েছে।

এ বারেও ছোটদের জন্য নজরকাড়া কিছু করার ভাবনা তাঁদের। ওই পুজো কমিটির সভাপতি হীরক দাস বলেন, “এবারেও আমাদের পুজো মণ্ডপ জুড়ে থাকবে টম, জেরি, অগি, মিকিমাউসের ছবি। প্লাইউড কেটে রং, তুলি দিয়ে ওই সব কার্টুন ছবি আঁকা হয়েছে ছোটদের জন্যে। ওদের সৌজন্যে বড়রাও আসবেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন