ভাল জল নিতে ভিড়। —নিজস্ব চিত্র।
জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পানীয় জলকষ্ট চলছেই। সমস্যা মেটাতে মঙ্গলবার পরিস্রুত জল সরবরাহের ব্যবস্থা করার জন্য হাসপাতাল কর্তারা পূর্ত দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কোথায় পাইপ লাইন হবে সেটা ঠিক হয়েছে। প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনা হয়। হাসপাতাল সুপার সুশান্ত রায় বলেন, “দু’মাস দায়িত্ব নিয়েছি। পানীয় জল সরবরাহ সহ হাসপাতালের পরিষেবার উন্নতির জন্য কিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। একটু সময় পেলে কোন কাজ আটকাবে না।”
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনটি ওয়ার্ডে ছয়টি ঠান্ডা পানীয় জলের কল বসবে। পূর্ত দফতরের কর্তারা জায়গাগুলি ঘুরে দেখেন, আজ, বুধবার থেকে তাঁরা কাজ শুরু করবেন বলে হাসপাতাল কর্তাদের আশ্বস্ত করেছেন এক জেলা স্বাস্থ্যকর্তা। তিনি জানান, মার্চ মাস থেকে ওই পানীয় জলের ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে। বিভিন্ন কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল, যে জল হাসপাতালের কলে মিলছে সেটা ভাল নয়। বছরখানেক আগে যে ছয়টি অ্যাকোয়া গার্ড বসানো হয়, সেগুলিও বিকল হয়ে পড়ে আছে। তাই বিকল্প পানীয় জলের ব্যবস্থা করা জরুরি। ফাইলের লাল ফিতের বাঁধন খুলতে সময় গড়িয়ে যায়। মঙ্গলবারও হাসপাতালের রোগীর বাড়ির লোকের মধ্যে পানীয় জল সংগ্রহের জন্য দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা গিয়েছে। প্রখর গরমে গলা ভেজাতে এ দিনও জলের বোতল কিনতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। নিরুপায় হয়ে গরিব পরিবারে লোকজন কলের খোঁজে ছুটে গিয়েছেন নার্সিং হস্টেলের সামনে। ভাল জল মেলায় সেখানে ভাল ভিড়। পাহাড়পুড়ের বাসিন্দা নিবাস সরকার বলেন, “হাসপাতালের ওয়ার্ডের কলে জল আছে। কিন্তু ওই জল খাওয়া যায় না। কত জল কিনব? হাসপাতালের বাইরের কল খুঁজে চার বোতল জল নিয়ে এসেছি।” একই রকম অভিজ্ঞতা মোহিতনগরের রেখা দাসের। তিনি রোগীকে রেখে ব্যাগভরা বোতল নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছেন জলের সন্ধানে।