টাকা নিয়ে ভর্তির নালিশ, ঘেরাও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

টাকা নিয়ে ছাত্র ভর্তির অভিযোগ তুলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ৪ ঘণ্টা ধরে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। শুক্রবার দুপুরে চাঁচল কলেজে ঘটনাটি ঘটেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:৩১
Share:

টাকা নিয়ে ছাত্র ভর্তির অভিযোগ তুলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ৪ ঘণ্টা ধরে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। শুক্রবার দুপুরে চাঁচল কলেজে ঘটনাটি ঘটেছে। কলেজ সূত্রের খবপর, ছাত্র সংগঠনের চাপে নথিপত্র খতিয়ে দেখার পর এক ছাত্রের ভর্তি বাতিল করে দেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় না। টাকা নেওয়ার অভিযোগে কলেজে দায়িত্বপ্রাপ্ত করণিকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানানো-সহ তাঁকে ভর্তির দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবিতে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলতে থাকে। পরে ওই করণিককে শোকজ করা হলে রাত সাতটায় বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। দুই ছাত্রকে বেনিয়ম করে ভর্তির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

Advertisement

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গাহুল আমিন বলেন, “ওই করণিককে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের সন্তোষজনক উত্তর না পেলে বিষয়টি পরিচালন সমিতির সভায় আলোচনা হবে। সমিতি যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। বেনিয়ম করে ভর্তির বিষয়টি আমার জানা ছিল না। অভিযোগ যখন উঠেছে তখন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” ওই করণিক সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “বহু ছাত্রছাত্রী ভর্তির ক্ষেত্রে দু-একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু টাকা নেওয়ার অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন।”

কলেজ সূত্রে জানা যায়, ডিগ্রি কোর্সের প্রথম বর্ষে এবছর কলেজে ২২০০ ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছে। বেসরকারি স্কুল বা মুক্ত বিদ্যালয় থেকে পাশ করা ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করা যাবে না বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশ রয়েছে। পাশাপাশি ভর্তির আগে যাবতীয় নথিপত্র কোনও শিক্ষককে দিয়ে পরীক্ষা করে নিতে হয়। কিন্তু দুই ছাত্রের ভর্তির নথিপত্র পরীক্ষা করানো ছাড়াই করণিক তাদের ভর্তি করান বলে অভিযোগ। এরমধ্যে বিহার বিদ্যালয় পরীক্ষা সমিতি থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা এক ছাত্রও রয়েছে। টিএমসিপির অভিযোগ, মোটা টাকা নিয়ে করণিক তাদের ভর্তি করিয়েছেন।

Advertisement

এদিন দুপুরে দুই ছাত্রের ভর্তির ক্রমসংখ্যা নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ঘরে যায় টিএমসিপি। কিন্তু তাদের নথি পাওয়া যাচ্ছে না কর্তৃপক্ষ জানানোর পর শুরু হয় অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ। তিন ঘন্টা বাদে নথি মেলার পর করণিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ চলতে থাকে। ওই করণিক ভুল স্বীকার করলেও তার শাস্তির দাবিতে ঘেরাও চলতে থাকে। শোকজের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। টিএমসিপির চাঁচল-১ ব্লক কার্য়করী সভাপতি সুমিত সরকার বলেন, ‘‘দুটি ক্ষেত্রেই দালালের মাধ্যমে টাকা নিয়ে গোপনে ভর্তি করা হয়েছে। দুটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসলেও ভর্তির ক্ষেত্রে বহু বেনিয়ম ও টাকার লেনদেন হয়েছে বলে আমাদের আশঙ্কা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন