ব্লক তৃণমূল সভাপতির বাড়ি ঘেরাও করে ভাঙচুরের অভিযোগে চার কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মালদহের রতুয়া থানার পীরগঞ্জে সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। রতুয়া-২ পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস সভাপতি তজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে ওই ভাঙচুর করা হয় বলে মঙ্গলবার পুলিশে অভিযোগ জানান ব্লক তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ নৈমুদ্দিন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে এ দিন সকাল ৭টা থেকে তৃণমূল পরাণপুর-মালদহ রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখায়। পরে বিডিও সহ পুলিশের হস্তক্ষেপে ঘণ্টা চারেক বাদে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। বিকালে পুলিশ চার কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, ধৃতেরা হল মহম্মদ আজিজ, জিয়াউল হক, সায়েদ আলি ও ফকেট শেখ। যদিও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তজিবুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
চাঁচলের এসডিপিও পিনাকী রঞ্জন দাস বলেন, “চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদেরও ধরা হবে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে পীরগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ এক কংগ্রেস সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়াকে ঘিরেই ঘটনার সূত্রপাত। সোমবার রাতে দলত্যাগী এক কংগ্রেস নেতা ব্লক তৃণমূল সভাপতির বাড়িতে গিয়েছেন খবর পেয়েই সেখানে কংগ্রেস কর্মীরা হাজির হন বলে অভিযোগ। তারপরেই ব্লক তৃণমূল সভাপতির বাড়ি ঘেরাও করে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। যদিও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তজিবুর রহমান বলেন, “আমি ওই সময় ঘটনাস্থলেই ছিলাম না। মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চক্রান্ত করা হচ্ছে।” রতুয়া-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বলেন, “কংগ্রেসিরা এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। পছন্দ না হলে কেউ দল ছাড়তেই পারে। কিন্তু কংগ্রেসিরা রিয়াজুদ্দিন আহমেদকে ধরতে আমার বাড়ি ঘেরাও ভাঙচুর চালিয়েছে। পুলিশকে সব জানিয়েছি।”