এলাকার দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের শীতলখুচির পঞ্চারহাট এলাকা। শনিবার সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। চলে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুঠপাট। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ঘটনায় দু’পক্ষের ৮ জন জখম হয়েছেন। ১৫ টির বেশি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালীন বোমা ও গুলি চলেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে কোচবিহারের পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেন, “গুলি, বোমা চলেছে এমন অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, পঞ্চার হাটে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ চলছে প্রায় এক বছর ধরে। তৃণমূলের শীতলখুচি ব্লক সভাপতি আবেদ আলি এবং ব্লকের কৃষক সংগঠনের সভাপতি সাহের আলি মিয়ার গোষ্ঠীর মধ্যে ওই লড়াই বলে অভিযোগ। মাস চারেক আগে আবেদ আলি ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল কর্মী খুন হন। ওই ঘটনায় সাহের আলির ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়। এখনও ওই খুনের ঘটনার সব অভিযুক্তরা গ্রেফতার হননি। এই লাগাতার গোষ্ঠী সংঘর্ষে অস্বস্তিতে পড়েছে কোচবিহারের জেলা তৃণমূল। দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “দল থেকে বহিষ্কৃত কয়েক জন ওই গণ্ডগোলের পিছনে রয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন দুষ্কর্মের সঙ্গে যুক্ত বলে শুনেছি। পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” শীতলখুচির তৃণমূল বিধায়ক হিতেন বর্মন বলেন, “কয়েকজনের বড়িতে হামলা হয়েছে বলে শুনেছি।”
দলীয় সূত্রের খবর, ওই এলাকায় বরাবর সাহের আলির অনুগামী বলে পরিচিত নুরজামাল হকের সমর্থকদের দাপট ছিল। সাহেরবাবু এদিন অভিযোগ করেন, “আবেদ আলির গোষ্ঠী বাইরে থেকে লোক নিয়ে গিয়ে ওই গ্রামে হামলা চালায়। ৩ মহিলা সহ ৮ জনকে মারধর করে। ৮ টি বাড়ি ভেঙে দেয় তারা। বাড়ি থেকে গরু, ছাগল সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র লুঠ করে নিয়ে যায়।” আবেদ আলির অনুগামীদের পাল্টা দাবি, সাহের আলির ঘনিষ্ঠরা হামলা চালিয়ে এলাকায় ৯টি বাড়ি ভাঙে। এক মহিলা সহ তিন জনকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে বলে তাদের দাবি। আবেদ আলি বলেন, “দল থেকে বহিষ্কৃত কয়েকজন খুনের মামলার অভিযুক্তের পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন।”