মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর রেল স্টেশন লাগোয়া বাজার এলাকায় তোলা আদায়ের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ভাই-সহ অভিযুক্তদের কাউকেই ধরতে পারেনি পুলিশ। এক তৃণমূল নেতার ভাইয়ের নেতৃত্বে হুমকি দিয়ে তোলা আদায় করা হচ্ছে বলে শনিবার পুলিশ-প্রশাসনের কাছে গণস্বাক্ষর করে অভিযোগ করেছিলেন ব্যবসায়ীরা।
তার ২৪ ঘন্টা বাদেও অভিযুক্তদের কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এমনকি অভিযুক্ত রেজাউল ওরফে রেজা-সহ বাকিরা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এমন অভিযোগও উঠেছে। থানা এলাকাতেও তাদের ঘুরতে দেখা গিয়েছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের।
হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি বাবিন মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। এফআইআর হলে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা যেত। কিন্তু এখনও কোনও এফআইআর হয়নি। তবে ব্যবসায়ীরা যে গণস্বাক্ষর করেছেন তার ভিত্তিতেও পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে বলে দাবি তাঁর। ফের ওই এলাকায় যাতে কোনও অশান্তি না হয়, সেদিকে পুলিশ কড়া নজর রেখেছে। তাঁর আরও দাবি, অভিযুক্তদের পেলেই ধরা হবে।
যদিও ব্যবসায়ীদের একাংশের বক্তব্য, তৃণমূল নেতার ভাই হওয়ায় রেজা ও তার সঙ্গীদের পুলিশ ধরছে না। তবে রুহুল নামে এক অভিযুক্ত এ দিন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেখা করে ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ভবিষ্যতে আর কখনও এমন করবে না বলে ব্যবসায়ীদের এফআইআর না করার আবেদন করেছে সে। বিষয়টি নিয়ে রাতে আলোচনায় বসে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নিলেও ব্যবসায়ীরা জোট বেঁধে মুখ খোলায় তোলাবাজরা খানিকটা পিছু হঠায় স্বস্তিতে ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার রাতে তোলা আদায়কে ঘিরে স্টেশন চত্বরে গোলমাল শুরু হয়। শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যবসা বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। রাতে অবশ্য পুলিশের আশ্বাসে ফের দোকান খোলেন তাঁরা। হরিশ্চন্দ্রপুর রেল স্টেশনের সামনে ছোট-বড় মিলিয়ে ৯০টি দোকান রয়েছে। ডুমুরিয়া এলাকার রেজাউল ওরফে রেজার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরেই ওই দোকানগুলি থেকে তোলা আদায় চলছিল বলে অভিযোগ। রেজার দাদা তৈমুর রহমান তৃণমূলের জেলা সম্পাদক। তৈমুর রহমান অবশ্য জানিয়েছেন, এমন ঘটনা তিনি সমর্থন করেন না।