তছরুপ কাণ্ডে ক্ষোভ চলছেই

ডুয়ার্সের রায়ডাক চা বাগানে শ্রমিকদের পিএফের টাকা তছরুপের ঘটনায় দোষিদের গ্রেফতার এবং টাকা ফেরতের দাবিতে চা বাগানে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার বিজেপি প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ চা শ্রমিক সঙ্ঘ এই দাবিতে রায়ডাক চা বাগানে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শামুকতলা শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৫ ০২:০৭
Share:

ডুয়ার্সের রায়ডাক চা বাগানে শ্রমিকদের পিএফের টাকা তছরুপের ঘটনায় দোষিদের গ্রেফতার এবং টাকা ফেরতের দাবিতে চা বাগানে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার বিজেপি প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ চা শ্রমিক সঙ্ঘ এই দাবিতে রায়ডাক চা বাগানে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গুণধর দাস, পশ্চিমবঙ্গ চা শ্রমিক সঙ্ঘের আলিপুরদুয়ার জেলা আহ্বায়ক কিষাণ মণ্ডল-সহ বিভিন্ন চা বাগানের প্রায় ১০০ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা এ দিন বাগান কর্তৃপক্ষের কাছে চা শ্রমিকদের পিএফের টাকা তছরুপের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থার দাবি জানান।

Advertisement

গুণধরবাবুর ক্ষোভ, অভিযোগের চারদিন পরেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। তাঁর দাবি, ‘‘ডুয়ার্সের প্রতিটি চা বাগানে পিএফের টাকা তছরুপের চক্র সক্রিয় রয়েছে বলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রীর কাছে শীঘ্রই স্মারকলিপি পাঠানো হবে। এ ছাড়া প্রতিটি চা বাগানে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচিও নেওয়া হবে।’’

সম্প্রতি রায়ডাক চা বাগানের পিএফ ক্লার্ক অজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চা শ্রমিকদের স্বাক্ষর জাল করে অথবা ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট বানিয়ে তাঁদের পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তছরুপ করার অভিযোগ ওঠে। তদন্তে প্রাথমিক ভাবে ১৮ জন শ্রমিকের পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে ১২ লক্ষ টাকা তছরুপ করার প্রমাণ মেলে। এর পরেই এই ঘটনায় ওই পিএফ ক্লার্ক কে সাসপেন্ড করেন বাগান কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার ওই বাগানের ম্যানেজার এবং শ্রমিকেরা আলাদা ভাবে অজয়বাবুর বিরুদ্ধে শামুকতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশের দাবি, অভিযোগ জমা পড়ার পর পুলিশ অজয়বাবুর খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। অজয়বাবুর আলিপুরদুয়ার বাড়ি এবং সম্ভাব্য জায়গাগুলিতে তল্লাশি চালিয়েও খোঁজ মেলেনি।

Advertisement

রায়ডাক চা বাগান সুত্রে জানা গিয়েছে, পিএফের টাকা তছরুপ হয়েছে এমন ১৮ জনের নাম পাওয়া গেলেও সঠিক ভাবে তদন্ত হলে আরও বহু শ্রমিকের নাম উঠে আসবে। তছরুপের অঙ্কও ৪০-৫০ লক্ষ টাকা হবে বলে ওই বাগানের কর্মীদের অনুমান। এ মুহূর্তে রায়ডাক চা বাগানে ১৬৮৮ শ্রমিক রয়েছেন। এ দিন প্রত্যেক শ্রমিকের পিএফ অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার দাবি তোলা হয়। রায়ডাক চা বাগানের ম্যানেজার গৌতম চক্রবর্তী জানান, “থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি আমরাও তদন্ত শুরু করেছি।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন