পাহাড়ে ওঠার প্রশিক্ষণ শিবিরে গিয়ে সহপাঠীর হাতে খুন হল দশম শ্রেণির এক ছাত্র। দার্জিলিঙের সিঙ্গলায় অ্যাডভেঞ্চার শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দার্জিলিঙের একটি প্রথম সারির ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই শিবিরে গত বুধবার রাতে দুই পড়ুয়ার বচসা হয়। সে সময়েই একজন আরেকজনের উপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ছাত্রের দুই পা এবং পেটে মোট পাঁচটি জায়গায় আঘাত লাগে বলে জানা গিয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় ছাত্রকে প্রথমে দার্জিলিং হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসার পরে শিলিগুড়িতে রেফার করা হয়। শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার রাস্তাতেই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। অভিযুক্ত সহপাঠীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাবালক হওয়ায় তাকে আদালতের নির্দেশে জলপাইগুড়ির সরকারি কোরক হোমে পাঠানো হয়েছে।
দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, ‘‘মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত নাবালক বলে জুভেনিয়াল জাস্টিস আইনে বিচার চলবে। দু’জনের মধ্যে কোনও কারণে বচসা হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। তবে কী কারণে বচসা হয়েছিল তা জানা যায়নি।’’
শিবিরের মধ্যে কী ভাবে পড়ুয়ারা ধারাল অস্ত্র নিয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা। ছাত্রদের নজরদারি করার জন্য শিবিরে পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক ছিল না বলেও অভিযোগ। স্কুলের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, শিবিরে রান্না-র প্রতিযোগিতা হয়। সে কারণে ফল-সবজি কাটার উপকরণ হিসেবে সকলের কাছেই ছুরি থাকে।
যদিও নিহত ছাত্রের এক আত্মীয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘‘শিবিরে নজরদারির গাফিলতির জন্যই এমন হয়েছে। পড়ুয়াদের মধ্যে যাওয়া বা হাতাহাতি স্বাভাবিক ঘটনা। তার জন্য নজরদারি থাকা প্রয়োজন। শিবিরে যদি নূন্যতম নজরদারি থাকত তবে এতবড় ক্ষতি আটকানো যেত।’’