দিল্লির বালক উদ্ধার দিনহাটায়

দিল্লির এক ব্যবসায়ীর পুত্রকে দিনহাটার গ্রাম থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। তাকে দিল্লি থেকে অপহরণ করে আনা হয়েছিল বলে অভিযোগ। বুধবার রাতে দিনহাটা থানার সাদিয়ালের কুঠি এলাকা থেকে ওই বালককে উদ্ধার করা হয়েছে। এক যুবককে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। অপহরণের অভিযোগ অবশ্য অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের লোকজন মানতে চাননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৪ ০১:২৭
Share:

মুক্তাজুন রহমান

দিল্লির এক ব্যবসায়ীর পুত্রকে দিনহাটার গ্রাম থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। তাকে দিল্লি থেকে অপহরণ করে আনা হয়েছিল বলে অভিযোগ। বুধবার রাতে দিনহাটা থানার সাদিয়ালের কুঠি এলাকা থেকে ওই বালককে উদ্ধার করা হয়েছে। এক যুবককে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। অপহরণের অভিযোগ অবশ্য অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের লোকজন মানতে চাননি।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সাহানুর রহমান নামে ওই যুবক দিল্লির ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে পরিচারকের কাজ করতেন। শিশুটির নাম মুক্তাজুন রহমান। মুক্তাজুনের সঙ্গে সাহানুরের খুব ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। সাহানুরকে চাচা বলে ডাকত ওই বালক। ৯ জুন থেকে সাহানুর আর মুক্তাজুনের খোঁজ মিলছিল না। বহু খোঁজ করেও ছেলের সন্ধান না পেয়ে শেষ পর্যন্ত মুক্তাজুনের বাড়ির তরফে দিল্লির অশোক কলোনি থানায় নালিশ করা হয়। মুক্তাজুনের পরিবারের সন্দেহ গিয়ে পড়েছিল সাহানুরের উপরে। পুলিশকে তার মোবাইল নম্বরও দিয়েছিলেন তাঁরা। মোবাইলের টাওয়ারে নজরদারি রেখে দিল্লি পুলিশ বুঝতে পারে, সাহানুর কোচবিহারে গিয়েছে। দিল্লি পুলিশের তরফে কোচবিহার পুলিশকে জানানো হয়। দিনহাটা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে দিল্লি পুলিশ সাহানুরের গতিবিধির উপরে নজর রাখার আর্জি জানায়। রাতেই দিনহাটা থানার পুলিশ সাদিয়ালের কুঠি এলাকায় সাহানুরের বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। সাহানুর বুধ বার ব্রক্ষ্মপুত্র এক্সপ্রেসে ওই বালকটিকে নিয়ে কোচবিহার এসেছিল।

রাতে দিনহাটা থানায় মুক্তাজুনকে রুটি-তরকারি খাওয়ায় পুলিশ। তখন সাহানুরকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। পুলিশের দাবি, সাহানুর জিজ্ঞাসাবাদে টাকা আদায়ের ছক কষে শিশুটিকে দিনহাটায় নিয়ে আসার কথা জানায়। কিন্তু দিনহাটার বাড়িতে পৌঁছনোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ সেখানে পৌঁছে যাওয়ায় সেই ছক ভেস্তে যায়। তবে শিশুটির বাবার সঙ্গে কী কাজের সূত্রে যোগাযোগ, সেখানে তিনি কী কাজ করতেন, তা নিয়ে মুখ খোলেনি সাহানুর। ওই থানার এক আধিকারিকের কথায়, “অপহরণের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হলেও অনেক কিছু স্পষ্ট নয়। উপরন্তু, শিশুটি ভাল করে বাংলা বলতে পারে না। আধো হিন্দিতে কথা বলে। ফলে, সে সব কথা বলতে পারছে না।”

Advertisement

অপহরণের অভিযোগ মানতে চাননি অভিযুক্তের ঘনিষ্ঠেরা। এদিন দিনহাটা আদালত চত্বরে অভিযুক্তের আইনজীবী মাসুদ হাসানের দাবি, “ওকে জোর করে আনা হয়েছে, এমন কথা ওই বালক আদালতেও বলেনি।” আদালত তাকে জলপাইগুড়ির কোরক হোমে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement