বকেয়া নয় মাসের টাকা

দুঃস্থ বৃদ্ধদের প্রকল্প থমকে

গ্রামের সহায় সম্বলহীন অসহায় দরিদ্র মানুষদের দু’বেলা খাবারের ব্যাবস্থা করতে ‘সহায়’ প্রকল্প শুরু হয়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা রান্না করে সে খাবার তুলেও দিচ্ছিলেন ওই অসহায় মানুষের মুখে। কিন্তু নয় মাসের বকেয়া টাকা না পেয়ে সহায় প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। গত ২৫ দিন ধরে ‘সহায়’ প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে আছে আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের তুরতুরি গ্রাম পঞ্চায়েতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শামুকতলা শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৪ ০১:৩১
Share:

গ্রামের সহায় সম্বলহীন অসহায় দরিদ্র মানুষদের দু’বেলা খাবারের ব্যাবস্থা করতে ‘সহায়’ প্রকল্প শুরু হয়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা রান্না করে সে খাবার তুলেও দিচ্ছিলেন ওই অসহায় মানুষের মুখে। কিন্তু নয় মাসের বকেয়া টাকা না পেয়ে সহায় প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। গত ২৫ দিন ধরে ‘সহায়’ প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে আছে আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের তুরতুরি গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই ঘটনায় ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৩০০ অসহায় মানুষ কার্যত অভূক্ত হয়ে দিন কাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে বকেয়া টাকা ও সহায় প্রকল্পের কাজ শুরু করার দাবিতে তুরতুরি পঞ্চায়েতের প্রধানকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান স্বনির্ভর দলের মহিলারা। এক ঘন্টা বিক্ষোভ চলার পরে টাকা এবং প্রকল্প চালুর আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। আলিপুরদুয়ার ২ বিডিও সজল তামাঙ্গ বলেন, “ব্লকের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে ঠিক ভাবে সহায় প্রকল্পের কাজ চলছে। তাঁরা টাকাও পাচ্ছেন। কিন্তু তুরতুরি গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ সঠিক ভাবে রিপোর্ট না পাঠানোয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে বিলের টাকা দেওয়া যায়নি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” আর তুরতুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অলোকা বসু বলেন, “কেন রিপোর্ট পাঠানো হয়নি, খতিয়ে দেখে দ্রুত বিলের টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে।”

Advertisement

ব্লক সূত্রের খবর, ২০০৯-এর জুন মাসে ব্লকের ১০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে তুরতুরি গ্রাম পঞ্চায়েতে সহায় প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রথম দিকে ৯টি কেন্দ্রে মোট ৫৫০ জন অসহায় দরিদ্রকে দুবেলা রান্না করা খাবার দেওয়া শুরু হয়। এক জনের ২০ টাকা বরাদ্দ করা হয়। দু’বছর পর পাঁচটি কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। বাকি চারটি কেন্দ্র ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চললেও ৯ মাসের প্রায় চার লক্ষ টাকা না পেয়ে চারটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী মার্চ মাস থেকে প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। মুক্তি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নমিতা রায়, রীতা সরকার এবং সাধনা স্বনির্ভর দলের অনিমা দাসরা জানান, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে প্রকল্পের কাজ চালু রেখেছিলাম। এখন আমাদের হাতে টাকা নেই। পঞ্চায়েতের গাফিলতিতে নয় মাসের বিল বকেয়া রয়েছে। বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ করেছি। এতে অসহায় মানুষগুলি সমস্যায় পড়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন