দফতরের সামনে বচসা দুই দলের, ক্ষুব্ধ গৌতম

পার্টি অফিসের সামনে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বচসা, ধস্তাধস্তির জেরে তেতে উঠল শিলিগুড়ির ফুলেশ্বরী মোড় এলাকা। সোমবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ ফুলেশ্বরী রেল গেট লাগোয়া তৃণমূল অফিসের সামনে কয়েক দফায় প্রায় ২০ মিনিট ওই গোলমাল, ধস্তাধস্তি চলে । তৃণমূলের প্রাক্তন দার্জিলিং জেলা সভাপতি প্রতুল চক্রবর্তীর সামনেই দুই গোষ্ঠীর কিছু যুবক একে অন্যকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৪ ০২:৪০
Share:

পার্টি অফিসের সামনে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বচসা, ধস্তাধস্তির জেরে তেতে উঠল শিলিগুড়ির ফুলেশ্বরী মোড় এলাকা। সোমবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ ফুলেশ্বরী রেল গেট লাগোয়া তৃণমূল অফিসের সামনে কয়েক দফায় প্রায় ২০ মিনিট ওই গোলমাল, ধস্তাধস্তি চলে । তৃণমূলের প্রাক্তন দার্জিলিং জেলা সভাপতি প্রতুল চক্রবর্তীর সামনেই দুই গোষ্ঠীর কিছু যুবক একে অন্যকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের একাংশের চেষ্টায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রতুলবাবু ওই ধরনের ঘটনা কখনও কাঙ্খিত নয় বলে মনে করেন। তিনি বলেন, “কমবয়সীরা মাথা গরম করে ফেলেছিল। পরে ভুল বুঝেছে। যাই হোক না কেন দলে কোনও রকম বিশৃঙ্খলা কাম্য নয়।”

Advertisement

প্রায় মাঝ রাতে দলেরই দুটি গোষ্ঠীর কয়েকজন যুবকের ওই কাণ্ডে তৃণমূলের অন্দরেই সমালোচনা শুরু হয়েছে। এতে জনমানসে দলের সম্পর্কে কী বার্তা যাচ্ছে সেই প্রশ্নও দলের মধ্যেই উঠেছে। দলের জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব তো বটেই, তৃণমূলের প্রদেশ নেতাদের কয়েকজনের কাছেও ওই ঘটনার খবর পৌঁছেছে। জেলা ও প্রদেশ নেতাদের অনেকেই ঠিক কী ঘটেছে ও কারা তাতে জড়িত ছিল তা নিয়ে বিশদে খোঁজখবর নেবেন বলে জানিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “ফুলেশ্বরী মোড়ে পার্টি অফিসের সামনে রাতের বেলায় কী হয়েছে তা নিয়ে খোঁজ নেব।”

তৃণমূলের অন্দরের খবর, ফুলেশ্বরী মোড়ের পার্টি অফিসের সামনে নেতা-কর্মীরা অনেক রাত পর্যন্ত থাকলেও সাধারণত কোনও হইচই হয় না। উপরন্তু, প্রবীণ তৃণমূল নেতা প্রতুলবাবুর উপস্থিতিতে অতীতে কখনও দলের কোনও স্তরের নেতা-কর্মী চড়া সুরে চেঁচামেচি করেননি। সে জন্যই ঘটনাটি নিয়ে দলের মধ্যেও শোরগোল পড়েছে। দল সূত্রে খোঁজখবর নেওয়ার পরে তৃণমূলের জেলা স্তরের একাধিক নেতা জানান, ওই রাতে এলাকার এক জনপ্রতিনিধির আত্মীয়ের সঙ্গে দলেরই কর্মী এক ব্যবসায়ীর বিরোধ বাঁধে। সামান্য বচসা থেকে আচমকা তুমুল চেঁচামেচি শুরু হয়। আচমকা ধস্তাধস্তিও শুরু হয়ে যায়। রাত ১১টার পরে তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে তুমুল হইচই শুনে এলাকার আরও কয়েকজন নেতা-কর্মী গিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন