ধূপগুড়ি কাণ্ড নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হবেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দল নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। সোমবার তিনি মধ্যপাড়ার বাড়িতে মৃতার মার সঙ্গে দেখা করেন। ওই পরিবার এবং গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ শোনার পরে সূর্যবাবু অভিযোগ করেন, “পুলিশ প্রথম থেকে কখনও দুর্ঘটনা আবার কখনও আত্মহত্যার কথা বলে বিষয়টি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আসল দোষীদের আড়াল করার জন্য কয়েকজন নির্দোষ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। এটা আমরা হতে দেব না। রাজ্যপালকে সমস্ত ঘটনা জানাব। এর শেষ দেখে ছাড়ব।”
এদিন সন্ধ্যা সওয়া ৭টা নাগাদ বিধানসভার বিরোধী দল নেতা মৃতার মামা বাড়িতে পৌঁছতে গোটা এলাকা সেখানে ভেঙে পড়ে। মহিলারা নেতার সঙ্গে কথা বলার জন্য ছুটে যান। ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ওই সময় হামিদার রহমানের স্ত্রী আতলিমা খাতুন এবং তহিদুর রহমানের স্ত্রী রিনা ইয়াসমিন আমাদের কিছু বলার আছে বলে সূর্যবাবুর দিকে এগিয়ে যান। তাঁরা কাগজপত্র দিয়ে জানান, তাঁদের স্বামীরা সালিশি সভায় ছিলেন না। অভিযোগপত্রেও নাম নেই। তবু পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করেছে। বিষয়টি শোনার পরে সূর্যবাবু মৃত ছাত্রীর মায়ের কাছে জানতে চান, এটা কি সত্যি ঘটনা? ওঁদের স্বামীরা কি সেদিন সালিশি সভায় ছিলেন না?
ছাত্রীর মা তাতে সম্মতি দিয়ে বলেন, “ওঁরা নির্দোষ। ওঁরা সালিশি সভায় ছিল না। যে তহিদুলের নামে আমরা অভিযোগ করেছি সেই ব্যক্তি উনি নয়।” এর পরেই বিরোধী দল নেতা দলীয় নেতৃত্বের কাছে জানতে চান ওই দু’জনের পক্ষে আইনজীবী দেওয়া হয়েছে কি না? দেওয়া হয়ে থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন প্রায় আধ ঘণ্টা কথা বলার পরে তিনি জলপাইগুড়িতে ফিরে যান। এদিকে এদিন রবিবার বিকেলের পরে ধৃত অনিল বর্মণ এবং বিজয় বসাককে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হলে রেল পুলিশ ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয়। ধূপগুড়ি কাণ্ডের প্রতিবাদ সহ আরও অন্তত ৩০ দফা দাবিতে এদিন দুপুর থেকে জলপাইগুড়ি শহরের সমাজপাড়ায় বামফ্রন্টের ৩০ ঘণ্টার গণ অবস্থান শুরু হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার সেখানে বক্তব্য রাখবেন বিরোধী দল নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।