আলিপুরদুয়ার শহরে কুমারগ্রাম রোড। রাস্তার দুই ধারে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে সারি সারি ট্রাক। শহরে নেই কোনও ট্রাক টার্মিনাস। তাই এতেই ভোগান্তি বেড়েছে পথচারী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের। দীর্ঘ দিন ধরে শহরে ট্রাক টার্মিনাসের দাবি উঠলেও তা তৈরি না হওয়ায় এই দুর্ভোগ বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। বাসিন্দারা জানান, রাস্তার দু’ধারে যে ভাবে ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে তাতে চলাফেরা করাই সমস্যা হয়ে পড়ে। অনেক সময়ই যানজট দেখা দেয়। ছোট গাড়ি নিয়ে চলাফেরা করাও কষ্টকর করে দাঁড়ায়। রাস্তার অবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ট্রাক মালিক সংগঠনের সদস্যরাও। তাঁরা জানান, রাস্তার ধারে বড় বড় ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকায় বাসিন্দাদের সমস্যা হচ্ছে এটা ঠিকই। কিন্তু গাড়ি দাঁড় করানোর নির্দিষ্ট কোনও জায়গা না থাকায় সমস্যা মেটানো যাচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান অনিন্দ্য ভৌমিক বলেন, “মনোজিৎ নাগ বাস টার্মিনাসের পিছন দিকে প্রায় ৩-৪ বিঘা ফাঁকা জায়গা রয়েছে। কয়েক মাস আগে সেখানে ট্রাক টার্মিনাস তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। বাস টার্মিনাসের পিছনের দিকের পাঁচিলের অংশ ভেঙে ওই নিচু জায়গায় মাটি ফেলার কাজ চলছে। প্রকল্পের জন্য ১ কোটি টাকা প্রয়োজন। টাকার জন্য পরিবহণ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।”
পথিপার্শ্বস্থ ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে সম্পাদক মনোজ নন্দী জানান, রাস্তার দুই ধারে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে। এতে ব্যবসায়ীরা খুব সমস্যার মুখে পড়েন। যানজটের জেরে লোকজন আসা কমে যাচ্ছে। অনেক ব্যবসায়ীর ব্যবসা মার খেতে বসেছে। পুরসভা, প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আলিপুর দুয়ার টাউন ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক পরিতোষ দাস বলেন, “একটা দুর্বিষহ অবস্থা। দোকানের সামনের অংশ জুড়ে ট্রাক দাঁড়িয়ে পড়ছে। দোকান থেকে মালপত্র বার করা বা আনাতে সমস্যা হচ্ছে। দিনের দিনে সমস্যা বাড়ছে। আর যানজট তো আছেই। সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে আলিপুরদুয়ার ট্রাক ওর্নাস অ্যসোসিয়েশনের সম্পাদক গোবিন্দ সরকার বলেছেন, “আমাদের সংগঠনের ১৫০ ট্রাক রয়েছে। কিন্তু শহরে সুনির্দিষ্ট কোনও ট্র্যাক স্ট্যান্ড নেই। ট্রাক দাঁড়ানো নিয়ে প্রতিদিনই ঝামেলা হয়। আমরাও এই ভাবে গাড়ি দাঁড় করাতে চাই না। কিন্তু উপায় নেই। বিষয়টি প্রশাসনকে বহুবার জানালেও কাজ হয়নি। সম্প্রতি বাস টার্মিনাসের পিছনে অংশে ট্রাক টার্মিনাস হবে বলে শুনেছি। তবে কবে হবে জানি না।