ফের চড়া রোদে হাঁসফাঁস উত্তর

নিম্নচাপে বৃষ্টির আশা আজ

কয়েক দিন বৃষ্টির পরে ফের শুরু হয়েছে গরম। শিলিগুড়ি থেকে বালুরঘাট তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় গরমে নাকাল সাধারণ মানুষ। রোদের সঙ্গে বেড়েছে বাতাসের আর্দ্রতাও। এ দিন শিলিগুড়ি এবং লাগোয়া এলাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি। বালুরঘাটের তাপমাত্রা ছিল আরও ১ ডিগ্রি বেশি। নিম্নচাপের কারণে গত সপ্তাহে টানা বৃষ্টি হয় শিলিগুড়িতে। নিম্নচাপ বিদায় নিতে শুরু হয়েছে গরমের দাপট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি ও বালুরঘাট শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৪ ০১:৩২
Share:

কয়েক দিন বৃষ্টির পরে ফের শুরু হয়েছে গরম। শিলিগুড়ি থেকে বালুরঘাট তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় গরমে নাকাল সাধারণ মানুষ। রোদের সঙ্গে বেড়েছে বাতাসের আর্দ্রতাও। এ দিন শিলিগুড়ি এবং লাগোয়া এলাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি। বালুরঘাটের তাপমাত্রা ছিল আরও ১ ডিগ্রি বেশি। নিম্নচাপের কারণে গত সপ্তাহে টানা বৃষ্টি হয় শিলিগুড়িতে। নিম্নচাপ বিদায় নিতে শুরু হয়েছে গরমের দাপট।

Advertisement

এ দিন সকাল থেকেই শিলিগুড়ির অধিকাংশ রাস্তা ছিল সুনসান। এ দিন বেশ কয়েকটি চাকরির পরীক্ষা ছিল। স্কুলের সামনে জটলা ছাড়া অন্যত্র তেমন ভিড় দেখা যায়নি। ছুটির দিন বলে এমনিতেই এ দিন শহরের রাস্তায় যান চলাচল ছিল কম। দুপুরের পরে রোদের তেজ আরও বেড়ে যাওয়ায় শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোড বা সেবক রোডে দোকানও বন্ধ হয়ে যায়।

এই পরিস্থিতিতে আশার বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়, উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের উপরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে শুরু করেছে। সেটি জোরদার হলে সোমবার সকাল থেকে শিলিগুড়িতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ দিন বিকেলে মালদহে বৃষ্টি হয়েছে।

Advertisement

এ দিন সকালে আকাশে কালো মেঘ জড়ো হলেও, বালুরঘাটে বৃষ্টি হয়নি। রোদের তাপে জেরে জলাশয়, খেত শুকিয়ে গিয়েছে বলে কৃষকরা জানান। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা কৃষি আধিকারিক উত্‌পল মণ্ডল বলেন, “জেলায় তেমন বৃষ্টি হচ্ছে না। জলের অভাবে পাট চাষে ক্ষতি হচ্ছে। মার খাচ্ছে গ্রীষ্মকালীন সব্জি চাষও।”

শুধু শাক-সব্জি নয়, গরমে রোগ সংক্রমণও বাড়ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গরমের বিভিন্ন রোগের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও বাড়ছে। বালুরঘাট হাসপাতাল সূত্রের খবর, গরম জনিত কারণে শ্বাসকষ্ট, পেটের রোগ নিয়ে রোজই হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। সম্প্রতি বালুরঘাটের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলে। বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় অসুস্থতার হার বেড়েছে বলে চিকিত্‌সক জানিয়েছেন। গরমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লোডশেডিংয়ের সমস্যাও। গত কয়েকদিন ধরে দুপুর ও রাতে ঘনঘন লোডশেডিং হচ্ছে বলে শহরবাসীর অভিযোগ। দাবদাহ চলতে থাকায় লোডশেডিংয়ে আরও বেশি নাজেহাল হতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।

জেলা বিদ্যুত্‌ বণ্টন কোম্পানি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্রীয় ভাবে লোডশেডিং করে সমস্যা মোকাবিলার চেষ্টা হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীরাও গরম ও লোডশেডিংয়ে জেরবার। জেনারেটরে প্রতিটি ওয়ার্ডে পাখা চালানোর মতো পরিকাঠামো নেই বলে অভিযোগ। জেলা পরিষদের সভাধিপতি ললিতা টিগ্গা বলেন, “হাসপাতালের বিষয়টি খোঁজ নিয়েই ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে বাড়তি জেনারেটর ভাড়া করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন