ন্যূনতম মজুরি চুক্তি চালু না করে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এমনই দাবি করে, তাকে ধরেই আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে বৈঠক করলেন চা শ্রমিকদের যৌথ মঞ্চের তরাই ও ডুয়ার্স কমিটি। ২৩টি চা শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চের তরাই কমিটি শনিবার বৈঠকে বসেন নকশালবাড়িতে। ডুয়ার্সের চালসায় বৈঠকে বসেন সংগঠনের ডুয়ার্স কমিটি। ফেব্রুয়ারির ১৯ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি তরাই ডুয়ার্স জুড়ে পদযাত্রার কর্মসূচি আগেই ঘোষণা করে জানিয়েছিলেন যৌথ মঞ্চের নেতারা। কিন্তু সামনে মাধ্যমিক থাকায় পদযাত্রাকে ব্লকভিত্তিক স্তরে সীমাবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত এদিনের বৈঠকে নেওয়া হয়েছে। এদিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি মেনে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের সঙ্গে দেখা করা হবে সংগঠনের পক্ষ থেকে বলে জানানো হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় সমাবেশেও যোগ দেবেন ডুয়ার্স তরাইয়ের নেতৃত্বরা। মাঝে রাজ্য শ্রম দফতরের সঙ্গে ২০ ফেব্রুয়ারিতে মজুরি চুক্তি নিয়ে নবম ত্রিপাক্ষিক বৈঠক রয়েছে শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায়। এই কারণে ওই দিন অন্য কর্মসূচি রাখা হয়নি বলে জানানো হয়েছে মঞ্চের পক্ষ থেকে।
সেই বৈঠকে যোগ দেবার আগে ফের যৌথ মঞ্চ নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসবে বলেও মঞ্চের পক্ষ থেকে জিয়াউল আলম জানান। তিনি বলেন, “আন্দোলন কর্মসূচি যথারীতি চলবে। তবে গত ১৫ এবং ১৬ ডিসেম্বরের অষ্টম ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পর ফের বৈঠক ডাকতে দু’মাস সময় কেন লাগল তা বোধগম্য হচ্ছে না। এদিন চালসার যৌথ মঞ্চের বৈঠকে আদিবাসী বিকাশ পরিষদও যোগ দেয়। মাঝে যৌথ মঞ্চ থেকে বেড়িয়ে গেলেও সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক তেজকুমার টপ্পো বলেন, চা শ্রমিকদের স্বার্থেই একসঙ্গে এলাম।”
এদিন তরাই এলাকার কর্মসূচিও ঠিক করা হয়। মঞ্চের পক্ষ থেকে অভিজিত মজুমদার জানান, ১৯ ফেব্রুয়ারি বেলগাছি থেকে নকশালবাড়ি, ২২ এ নকশালবাড়ি থেকে বাগডোগরা এবং ঘোষপুকুর থেকে বাগডোগরা, সেখান থেকে মিলিত হয়ে এয়ারপোর্ট মোড় পর্যন্ত পদযাত্রাটি যাবে। একই দিনে মাটিগাড়ার মোহরগাঁও গুলমা থেকে আরও একটি পদযাত্রা বের হবে। ২৪ ফেব্রুয়ারি খড়িবাড়ি-বাতাসি থেকে পানিট্যাঙ্কি মোড় পর্যন্ত এবং ২৫ এ মতিধর চা বাগান থেকে জয়ন্তিকা পর্যন্ত পদযাত্রা হবে।