ভোটের দিন ঘোষণায় বিপাকে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়

নিয়োগ চালুর আর্জি কমিশনে

লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে গিয়েছে। এই নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য় ইন্দ্রজিৎ রায় সমস্ত পরিস্থিতির কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রক্রিয়া চালানোর অনুমতি চেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন কিছু জানায়নি। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকেন্ড সেমেস্টারের ক্লাস শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৪ ০১:৩৪
Share:

লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে গিয়েছে। এই নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য় ইন্দ্রজিৎ রায় সমস্ত পরিস্থিতির কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রক্রিয়া চালানোর অনুমতি চেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন কিছু জানায়নি। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকেন্ড সেমেস্টারের ক্লাস শুরু হয়েছে। জুলাইয়ের শেষে নতুন ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হবেন। এখন বিভিন্ন কলেজ থেকে শিক্ষকেরা এসে ক্লাস নিচ্ছেন। সব দিক ভেবে রাজ্য সরকার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ করার অনুমতি দিয়েছে। বিজ্ঞাপন দিয়ে আবেদনপত্র জমা নেওয়ার কাজও শুরু করেছি। এই সময় নির্বাচন ঘোষণা হয়। ফলে প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে হয়েছে। ওই প্রক্রিয়া চালানোর জন্য কমিশনকে চিঠি দিয়েছি। দেখা যাক কী হয়!”

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, বর্তমানে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দোতলা বাড়িতে চলছে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস। একমাত্র উপাচার্য ছাড়া স্থায়ী পদ এত দিন তৈরি হয়নি। রেজিস্ট্রার, নিয়ামক, ফিনান্স অফিসার ডেপুটেশনে রয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত কিছু সরকারি কর্মীকে নিয়োগ করে অশিক্ষক কর্মীর কাজ চালানো হচ্ছে।

এ ছাড়াও বিভিন্ন কলেজ থেকে শিক্ষকরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্য়ায়ক্রমে গিয়ে ক্লাস নেন। তাই আগামী জুলাই মাসের শেষের দিকে নতুন ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হবে, এটা মাথায় রেখে শহরের কাছে কৃষি ফার্মে ১৭ একর জমিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ভবনের কাজ শুরু হয়েছে। সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ জন শিক্ষক, ১১ জন অশিক্ষক এবং রেজিস্ট্রার, ফিনান্স অফিসার, নিয়ামক পদ তৈরি করে স্থায়ী ভাবে নিয়োগের নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশ পাওয়ার পরে জানুয়ারি মাসেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। ২০ মার্চ পর্যন্ত আবেদন পত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ঘোষণা করে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। আবেদন পত্র পাওয়ার পর লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যেম অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। কর্তৃপক্ষ জানান, ইউজিসির গাইড লাইন মেনে শিক্ষক ও অন্য পদে নিয়োগের জন্য আবেদন পত্র জমা নেওয়ার কাজ শুরু হয়। জমা নেওয়া শেষ হলে পরীক্ষার দিন ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ। আবেদন পত্র জমার কাজ জারি রাখতে পারলেও বাকি প্রক্রিয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন