নিয়োগের দাবিতে টোলপ্লাজায় ভাঙচুর

পছন্দমতো কর্মী নিয়োগের দাবিতে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির নেতা কর্মী পরিচয় দিয়ে জাতীয় সড়কের টোল প্লাজায় ‘দাদাগিরি’ ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে একদল যুবকের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৪২
Share:

পছন্দমতো কর্মী নিয়োগের দাবিতে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির নেতা কর্মী পরিচয় দিয়ে জাতীয় সড়কের টোল প্লাজায় ‘দাদাগিরি’ ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে একদল যুবকের বিরুদ্ধে।

Advertisement

মঙ্গলবার গভীর রাত নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া থানার সূর্যাপুর এলাকার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ নিযুক্ত ওই টোল প্লাজার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থার ম্যানেজার সরোজ সিংহ বুধবার বিকালে চাকুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে।”

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই সংস্থার কর্মীরা ওই টোলপ্লাজা পরিচালনা ছাড়াও গাড়ি থেকে কর আদায় করেন। সম্প্রতি, জাতীয় সড়ক ও টোলপ্লাজা কর্তৃপক্ষ কর্মী নিয়োগের জন্য স্থানীয় ২৪ জন যুবকের একটি পরীক্ষা নেন। সরোজবাবুর অভিযোগ, “রাতে একদল যুবক টোলপ্লাজায় এসে নিজেদের আইএনটিটিইউসির নেতা ও কর্মী বলে পরিচয় দেন। তারা কয়েকজনকে নিয়োগের দাবি জানান। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তা করা যাবে না বলা হয়। এর পরেই টোল প্লাজার চারটি ঘরের একাধিক চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর চালানো হয়। আমাদের কয়েকজন কর্মীকে ধাক্কাধাক্কি করে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়।’’ তবে হামলাকারীদের সরোজবাবু চেনেন না বলে জানিয়ে হুমকি, ধাক্কাধাক্কি এবং ভাঙচুরের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার সময় ভয়ে টোলপ্লাজার কয়েকজন কর্মী পালিয়ে যান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাতীয় সড়কে কিছুক্ষণ রাতে যানজট সৃষ্টি হয়। অন্য গাড়ির চালক এবং যাত্রীরাও নেমে খোঁজখবর করা শুরু করেন। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তার আগেই অবশ্য হামলাকারীরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। সরোজবাবু বলেন, “আমরা আতঙ্কে রয়েছি। পুলিশকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।”

যদিও ঘটনার সঙ্গে তাঁদের সংগঠনের কেউ জড়িত নেই বলে দাবি করেছেন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অরিন্দম সরকার। তিনি বলেন, “সংগঠনের কোনও নেতা বা কমী ওই টোলপ্লাজায় হামলা চালাননি। আমাদের নামে বদনাম রটাতেই বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করেছে। আমরাও চাই যাঁরা টোল প্লাজায় হামলা করেছে, পুলিশ তাদের গ্রেফতার করুক।”

এ দিন টোলপ্লাজায় যান সিটুর উত্তর দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক সুবীর বিশ্বাস। তাঁর দাবি, “টোলপ্লাজার কর্মীরা সিটুর সদস্য হওয়ায় রাজনৈতিক হামলার আতঙ্কে রয়েছেন। হামলাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় যাই থাকুক না কেন, পুলিশ অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত করে তাদের গ্রেফতার না করলে আমরা আন্দোলনে নামব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন