পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ে পোস্টার যুব মোর্চার

ফের গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পোস্টার পড়ল দার্জিলিঙে। বৃহস্পতিবার সকালে দার্জিলিঙের চকবাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার যুব সংগঠনের পোস্টার দেখা গিয়েছে। রাজ্যে তৃণমূল সরকার অপশাসন চালাচ্ছে বলে পোস্টারে অভিযোগ করে পৃথক রাজ্যের দাবি করা হয়েছে। সব পোস্টারে অভিযোগ করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী এসে পাহাড়ে হাসছে বলে দাবি করলেও, পাহাড়ের বাসিন্দাদের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকার আতঙ্কিত করার চেষ্টা করছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৪ ০১:৫৫
Share:

ফের গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পোস্টার পড়ল দার্জিলিঙে। বৃহস্পতিবার সকালে দার্জিলিঙের চকবাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার যুব সংগঠনের পোস্টার দেখা গিয়েছে। রাজ্যে তৃণমূল সরকার অপশাসন চালাচ্ছে বলে পোস্টারে অভিযোগ করে পৃথক রাজ্যের দাবি করা হয়েছে। সব পোস্টারে অভিযোগ করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী এসে পাহাড়ে হাসছে বলে দাবি করলেও, পাহাড়ের বাসিন্দাদের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকার আতঙ্কিত করার চেষ্টা করছেন।

Advertisement

সেই সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল নেতারা সাধারণ বাসিন্দাদের হুমকি দেওয়া, ভয় দেখানোর মতো অপরাধ করলেও তাদের ধরা হয়নি অভিযোগ করে পাহাড়ের সাধারণ বাসিন্দাদের নানা কারণে গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে পোস্টারে অভিযোগ করা হয়েছে। যুব মোর্চার মুখপাত্র প্রকাশ গুরুঙ্গ বলেন, “পোস্টার দিয়ে পৃথক গোর্খাল্যান্ড দাবিতে আন্দোলন শুরু করা হল। রাজ্য সরকারের অত্যাচারের কথা পোস্টারে তুলে ধরা হয়েছে। দার্জিলিঙের বাসিন্দাদের প্রতি রাজ্য সরকার দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের মতো ব্যবহার করছে। খুব শীঘ্রই রাস্তায় নেমে আন্দোলন হবে।”

তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের সঙ্গে মোর্চার সম্পর্কের বরফ সম্প্রতি গলতে শুরু করেছে। ১৬ জুলাই তিন দিনের সফরে মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে যান। সে সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গুরুঙ্গের বৈঠক হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ দেন জিটিএ সদস্য, মোর্চা বিধায়করা। সে প্রসঙ্গে মোর্চার যুব নেতা প্রকাশ বলেন, “রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও প্রশাসনিক কাজে সুবিধার জন্য রাজ্য সরকার এবং জিটিএ-র মধ্যে সুসম্পর্ক থাকতেই পারে।”

Advertisement

যুব মোর্চার আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি মোর্চা নেতারা। দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, “এমন পোস্টারের কথা জানি না। যুব মোর্চার কর্মসূচি আমার জানার কথাও নয়।” যদিও মোর্চার সম্মতি ছাড়া যুব সংগঠনের এমন কর্মসূচি নেওয়া সম্ভব নয় বলে অনেকে মনে করেন। আগামী মাসে কালিম্পঙে সভার ডাক দিয়েছে মোর্চা। আগামী ডিসেম্বরে দিল্লিতে গিয়েও আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

তৃণমূলের তরফে অবশ্য মোর্চার বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। পাহাড় কমিটির নেতা এন বি খাওয়াস বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যে উন্নয়নের কাজ অগ্রাধিকার দিয়েছেন, তা কারও অজানা নয়। বাসিন্দাদের নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে মোর্চা।” পাহাড় কমিটির সভাপতি রাজেন মুখিয়ার দাবি, “ফের গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলে মোর্চা পাহাড়ের বাসিন্দাদের বোকা বানাতে পারবে না। এর আগেও ওরা বাসিন্দাদের বোকা বানিয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন