পৃথক দুই পথ দুর্ঘটনায় এক পুলিশ কর্মী-সহ দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।এই ঘটনায় গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন আরও তিন জন।
সোমবার সন্ধে ও মঙ্গলবার ভোরে ঘটনা দু’টি ঘটেছে ইংরেজবাজারের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে এবং গাজলের মশালদিঘি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই পুলিশ কর্মীর নাম অমর রায় (৫০)। তিনি ইংরেজবাজার থানার কনস্টেবল ছিলেন। তাঁর বাড়ি কালিয়াচক থানার রথবাড়ি গ্রামে। তিনি পুলিশ লাইনেই তাঁর পরিবার নিয়ে থাকতেন।
পুলিশ সূত্রের খবর,এ দিন প্রজাতন্ত্র দিবস থাকায় মোটরবাইক নিয়ে ডিউটি করছিলেন তিনি। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের সামনে এক মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে মোটরবাইক থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে ছিটকে পড়েন তিনি। সেই সময় কালিয়াচকগামী একটি ট্রাক তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায়। স্থানীয়েরা তাঁকে উদ্ধার করে মেডিক্যালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
অন্য দিকে, ডালখোলা থেকে পণ্য খালাস করে বাড়ি ফেরার পথে গাজলের মশালদিঘি এলাকায় একটি ট্রাকের সঙ্গে একটি লরির মুখোমুখি ধাক্কায় মারা গিয়েছেন এক সহকারি চালক। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সামেরুল শেখ (২৫)। তাঁর বাড়ি ঝাড়খন্ডের পাকুরেসে। এ দিন ভোরে এই গাড়িটি মালদহ থেকে শিলিগুড়ির দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় সামনের দিক থেকে একটি ট্রাক আসছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডাম্পারটি ট্রাকটিতে ধাক্কা মারে। মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে ডাম্পারের সহকারি চালক সামেরুল শেখের মৃত্যু হয়। ট্রাকে থাকা তিন জনই গুরুতর ভাবে জখম হন। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে। গাজল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকেরা সামেরুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও রেফার করা হয়। আহতেরা রেজাউল করিম,আব্দুল সাদেক ও আব্দুল খালেক। তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি কালিয়াচকের ১৮ মাইল গ্রামে। ঘটনার পর থেকে ডাম্পারের চালক পলাতক। পুলিশ মৃতদেহ দু’টিই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।