শিলিগুড়ি বাঘা যতীন পার্ক এলাকায় ঠেলায় করে খাবার বিক্রেতাদের একাংশ চুপিসাড়ে মদ বিক্রি করছেন অভিযোগে তাঁদের ডেকে সতর্ক করা হল। বুধবার শিলিগুড়ি পুরসভার ৩ নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান নিখিল সাহানি দফতরে ব্যবসায়ীদের ডেকে পাঠান। তাদের এ দিন অভিযোগের বিষয়টি জানিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ৩ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। ৩ দিনের মধ্যে এই পরিস্থিতি না বদলালে ঠেলায় করে খাবার বিক্রেতাদের সেখানে কারবার বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও এ দিন জানিয়ে দেওয়া হয়। এই এলাকা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে। এলাকার কাউন্সিলর উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। সম্প্রতি বাসিন্দাদের কয়েকজন বিষয়টি পুরসভায় অভিযোগ জানান। সমস্যার কথা তাঁরা জানিয়েছিলেন মন্ত্রীকে। এর পরেই মন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বরো চেয়ারম্যান নিখিলবাবুকে ব্যবস্থা নিতে বলেন।
নিখিলবাবু বলেন, “সমস্যা নিয়ে পুরসভায় অভিযোগ করেছিলেন বাসিন্দাদের কয়েকজন। মন্ত্রীর কানেও খবর যায়। এর পরেই তিনি আমাকে বিষয়টি দেখতে বলেন। তাঁর কথা মেনে এ দিন ওই ব্যবসায়ীদের ডাকা হয়েছিল। তাদের সকর্ত করা হয়েছে।”
ব্যবসায়ীদের একাংশ অবশ্য এ ব্যাপারে ক্ষুব্ধ। তাদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে সেখানে কারবার করেন। তার উপরেই সংসার চলে। স্থানীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সেখানে ঠেলায় করে খাবার বিক্রির কারবারীর সংখ্যা বেড়ে যায়। শাসক দলের নেতাদের মদতেই নতুন ব্যবসায়ীরা অনেকে ঠেলায় করে কারবার শুরু করেন। এমনকী সেখানে কারবার করবেন বলে তাদের টাকাও দিতে হয়েছে বলে দাবি করেন। অথচ তাদের একাংশ মদ বিক্রি করেন অভিযোগে তাদের তুলে দেওয়ার কথা জানানোয় ক্ষুব্ধ ওই ব্যবসায়ীরা।
তৃণমূলের একটি সূত্রে খবর বাঘা যতীন পার্ক এলাকায় ঠেলায় খাবারের দোকানের সংখ্যা বর্তমানে ৫০টি ছাড়িয়ে গিয়েছে। অথচ বছর খানেক আগেও সেই সংখ্যা অর্ধেকের মতো ছিল। তা নিয়ে বাসিন্দাদের অনেকেই ক্ষুব্ধ। এমনকী তৃণমূলের এক নেতার মদতেই নতুন নতুন ঠেলায় কারবারিরা আসছেন বলে দলের অন্দরেই অভিযোগ উঠেছে। তাতে এলাকার পরিবেশ বিষিয়ে উঠছে। এমনিতেই বাঘা যতীন পার্কে নানা ধরনের অসামাজিক কাযকর্ম নিয়ে বাসিন্দাদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বাঘা যতীন পার্কের মাঠটি ঘেরা দেওয়ার দাবিও তুলেছিলেন তাঁরা। সেই মতো উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর উদ্যোগে লোহার রেলিং বসানোর কাজ চলছে। অথচ এর মধ্যেই ঠেলায় করে খাবার বিক্রির কারবার জাঁকিয়ে বসায় এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন ওই বাসিন্দারা।