প্রেমিকই জড়িত জেনে ভেঙে পড়ছেন নির্যাতিতা

মানিকচকের যুবতীকে গণধর্ষণের মামলায় ওই যুবতীর ‘প্রেমিক’ পিন্টু খান ও তার এক বন্ধু বদিরুদ্দিন শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু বাকি অভিযুক্তদের পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। সোমবার ওই যুবতীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গণধর্ষণের ঘটনায় মুল অভিযুক্ত তাঁর প্রেমিকই হওয়ায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন নির্যাতিতা যুবতী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৫৫
Share:

মানিকচকের যুবতীকে গণধর্ষণের মামলায় ওই যুবতীর ‘প্রেমিক’ পিন্টু খান ও তার এক বন্ধু বদিরুদ্দিন শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু বাকি অভিযুক্তদের পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। সোমবার ওই যুবতীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গণধর্ষণের ঘটনায় মুল অভিযুক্ত তাঁর প্রেমিকই হওয়ায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন নির্যাতিতা যুবতী। এদিন হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, “আমার মানসিক অবস্থা ভাল নেই। আমার সঙ্গে সে এমন ঘটনা ঘটাবে, তা আমি ভাবতেও পারছি না।” তিনি জানান, তাঁদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাঁর সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলে ওই যুবক। পুলিশ এখনও বাকিদের গ্রেফতার করতে পারেনি। ওই যুবতী বলেন, “আমি তাদের কঠোর শাস্তি চাই।” মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক মোদী বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে গ্রামে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।”

Advertisement

গত শুক্রবার সন্ধ্যে বেলা মানিকচক থানার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুপুরে গঙ্গা নদীর ধারে এক যুবতীকে তার প্রেমিকের সামনে পাঁচ জন মিলে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। প্রথমে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়। যুবতীর পরিবারের লোকেরা রাজি না হওয়ায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ওই নির্যাতিতা অভিযোগ করেন, তাঁর প্রেমিক পিন্টু খানও ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। ওই দিনই রাতে পুলিশ পিন্টু ও বদ্দিরউদ্দিনকে গ্রেফতার করে। আদালতে তাদের হাজির করানো করা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত প্রেমিক পিন্টু জেরায় কবুল করেছে সে বিবাহিত এবং তার একটি তিন মাসের কন্যা সন্তানও রয়েছে। এদিকে এই যুবতীকে তাকে বিয়ে করার জন্য নিয়মিত চাপ দিচ্ছিল বলে তিনি দাবি করেন। পুলিশের দাবি, ধৃত পিন্টু ওই যুবতীকে বিয়ের টোপ দিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। তারপরে পরিকল্পনা মতো অন্য যুবকরা হাজির হয়ে পিন্টুকে অল্পবিস্তর মারধর করে ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করে চলে যায় বলে পুলিশের সন্দেহ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement