পুরনো হারে ট্রেড লাইসেন্স ফি, সিদ্ধান্ত

বর্ধিত হারের বদলে পুরনো নিয়মেই ট্রেড লাইসেন্স ফি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অথচ তার পরেও পুরসভায় ট্রেড লাইসেন্স নবিকরণ করতে বা নতুন লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে অনেককে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৫৩
Share:

বর্ধিত হারের বদলে পুরনো নিয়মেই ট্রেড লাইসেন্স ফি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অথচ তার পরেও পুরসভায় ট্রেড লাইসেন্স নবিকরণ করতে বা নতুন লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে অনেককে। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের কাউন্টার থেকে জিতেন্দ্র তেওয়ারি, কমল দাসদের জানানো হয় জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেওয়া হবে। বাসিন্দাদের একাংশ মেয়র, ডেপুটি মেয়রকে অভিযোগ জানান। তাঁদের প্রশ্ন ৩১ মার্চ থেকে পুরনো নিয়মে ফি নিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নবিকরণ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। অথচ এখনও তা করা হচ্ছে না। এর পর-ই মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত পুর কমিশনারকে এ দিন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নবিকরণ ও নতুন লাইসেন্সের জন্য আবেদন নেওয়ার প্রক্রিয়া চালু করতে নির্দেশ দেন। তবে বর্ধিত হারে ফি দিয়ে যাঁরা লাইসেন্স নবিকরণ করিয়েছেন তাঁদের বাড়তি টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি পুর কর্তৃপক্ষ। বিরোধীরা দাবি করেছেন ওই টাকা ফেরত দিতে হবে।

Advertisement

মেয়র বলেন, “পুরনো হারেই এ দিন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নবিকরণ এবং নতুন লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে থেকে চালু করার কথা জানানো হলেও নির্বাচনী বিধিনিষেধে জেরে তা করা যায়নি বলে জানান।” কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া অবশ্য ভোটের বিধি নিষেধের প্রসঙ্গ তুলে এ দিনও তা করা উচিত হবে কি না তা নিয়ে ইতস্তত করছিলেন বলে অভিযোগ। পরে ঠিক হয় এ দিন থেকেই বর্ধিত হারের পরিবর্তে পুরনো নিয়মে ফি দিয়েই ট্রেড লাইসেন্স নবিকরণ এবং নতুন লাইসেন্স পেতে পারবেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শেষ পর্যন্ত বেলা টার পর তা জানানো হলে সেই সময়ে কয়েক জন যাঁরা তখনও পুরসভায় ছিলেন লাইসেন্স নবিকরণ করান। তৃণমূল কাউন্সিলর কৃষ্ণ পাল বলেন, “পুর কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের অকারণে হেনস্থা করছে। ১ মার্চ কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্তের পরও তা চালু করেনি। ভোট অন অ্যাকাউন্টের সভায় মেয়র কথা দিয়েছিলেন ৩১ মার্চ থেকে কার্যকর করা হবে। তাও মানা হয়নি। এর পর সমস্যা হলে বাসিন্দাদের নিয়ে আমরা আন্দোলনে নামব।” ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবশঙ্কর সাহা জানিয়েছেন, যাঁরা বর্ধিত হারে টাকা দিয়ে লাইসেন্স নবিকরণ করিয়েছেন বা নতুন লাইসেন্স নিয়েছেন তাঁদের টাকা ফেত দেওয়ার ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তা দেখা হচ্ছে। তবে তাঁরা বর্ধিত হারে ফি দিতে রাজি আছেন সেই লিখিত আবেদন করেছেন। বিরোধী দলনেতা মুন্সি নুরুল ইসলাম বলেন, “ট্রেড লাইসেন্স না পেলে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়বেন দেখে নিরুপায় হয়ে লিখিত মুচলেকা দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নবিকরণ করিয়েছেন। কংগ্রেস-তৃণমূলের জোটে বোর্ড থাকার সময় অবৈধ ভাবে ট্রেড লাইসেন্স ফি বাড়ানো হয়েছিল। তা ফেরত দিতেই হবে।” এ দিন ট্রেড লাইসেন্স নবিকরণে গিয়ে জিতেন্দ্র তেওয়ারি, দেব চক্রবর্তী, কমল দাসদের মতো বাসিন্দারা ফিরে গিয়েছেন।

শুধু ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই সমস্যা নয়। কোনও ওয়ার্ডে পানীয় জলের পরিষেবা ঠিক মতো মিলছে না। কোথাও সাফাই না-হওয়ায় রাস্তার ধারে আবর্জনার স্তূপ জমে রয়েছে। মশা মারার কাজও ঠিক মতো হচ্ছে না। নিকাশি নালাগুলির বেহাল পরিস্থিতি। বর্ষার আগে সেগুলি সাফাই করতে পুর কর্তৃপক্ষের হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। তাতে বর্ষায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় জল জমার আশঙ্কা করছেন অনেকে। নির্বাচন পরিস্থিতিতে পুর কর্তৃপক্ষের ঢিলেঢালা মনোভাবের সুযোগ নিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ নির্মাণ কাজ চলছে বলেও অভিযোগ। বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ আটকে আছে বলে বিরোধীরা সরব।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন