পুরসভার আসন পুনর্বিন্যাসের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত

সংশোধনের পর শুক্রবার বিকালে শিলিগুড়ি পুরসভা নির্বাচনের আসন পুর্নবিন্যাসের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হল। গতবারের মতই মোট ৪৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে এবারেও তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং মহিলা সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০টি। সংরক্ষণের জেরে অদলবদল হয়ে গিয়েছে প্রচুর ওয়ার্ড। গতবার না থাকলেও এবার একটি ওয়ার্ড তফশিলি উপজাতিদের জন্যও সংরক্ষিত হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৪ ০২:৪২
Share:

সংশোধনের পর শুক্রবার বিকালে শিলিগুড়ি পুরসভা নির্বাচনের আসন পুর্নবিন্যাসের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হল। গতবারের মতই মোট ৪৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে এবারেও তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং মহিলা সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০টি। সংরক্ষণের জেরে অদলবদল হয়ে গিয়েছে প্রচুর ওয়ার্ড। গতবার না থাকলেও এবার একটি ওয়ার্ড তফশিলি উপজাতিদের জন্যও সংরক্ষিত হয়েছে।

Advertisement

নতুন সংরক্ষণের তালিকা অনুসারে, কংগ্রেসের দখলে থাকা ৭টি, বামফ্রন্টের ৮টি এবং তৃণমূলের দখলে থাকা ৫টি ওয়ার্ড সংরক্ষিত ওয়ার্ডের আওতায় পড়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব, পুরসভা বিরোধী দলনেতা নুরুল ইসলামের ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ওয়ার্ড হয়েছে। সেই সঙ্গে নান্টু পাল, রঞ্জন শীলশর্মা, দেবশঙ্কর সাহা, সঞ্জয় পাঠক, অতুল চন্দ্র দাসের মত একাধিক প্রাক্তন মেয়র পরিষদের ওয়ার্ডও সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় তাঁদের ভোটে লড়তে হলে অন্য কোনও ওয়ার্ডই ভরসা। এদিনই বিকালে শিলিগুড়ি নির্বাচনী দফতর, পুরসভার সংরক্ষিত তালিকা বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দার্জিলিঙের জেলাশাসক তথা জেলার পুর নির্বাচনী আধিকারিক পুনীত যাদব বলেন, “প্রথম দফায় একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। পরে নতুন পুর আইন মেনে পরে সংশোধন করা হয়। এদিন নির্দিষ্ট সময়সীমার পর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলির বিস্তারিত সব জানানো হয়েছে।”

Advertisement

জেলা নির্বাচনী দফতর সূত্রের খবর, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের জন্য গত ১৪ অগস্ট শিলিগুড়ি সার্কিট হাউসে সর্বদল বৈঠক হয়। সেখানেই রাজনাতিক দলগুলি জানিয়ে দেয়, ১৯৯৪ সালের পুর আইনের বিজ্ঞপ্তি ধরে ওই তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। যা ঠিক নয়। আসানসোল, চন্দননগর এবং শিলিগুড়ি পুরসভার জন্য ২০০৯ সালে নতুন সেংশাধনী বিজ্ঞপ্তি তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার প্রকাশ করেছিল। সেই পুর আইন ধরেই আসন সংরক্ষণ করতে হবে। জনগণনা অনুসারে ওয়ার্ডের জনসংখ্যা, তফশিলি জাতি, উপজাতির বসবাসের হিসাব ধরে তালিকা তৈরি করতে হবে। এতে ২২ অগস্ট ফের সর্বদল বৈঠক ডেকে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সময় সীমা সাত দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। ওই দিনই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের দিন ছিল।

এদিন তালিকা প্রকাশের পরে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জেলা নির্বাচনী দফতরের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। দার্জিলিং জেলা সিপিএমের কার্যকরী সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেন, “প্রথমে ১৯৯৪ সালের পুর আইন পরে ২০০৯ সালের পুর সংশোধনী আইন অনুসারে সংরক্ষণ হল। সময় বেশি লাগল। জেলা প্রশাসন বলেছে, ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তিটি তাঁরা পরে জেনেছে। এখানেই তাঁদের স্বচ্ছতা বিষয়টি উঠেছে।” তিনি জানান, এই অস্বচ্ছতার অবিযোগ আমরা জানিয়ে দিয়েছি। এই জেলা নির্বাচনী দফতরের অফিসারদের অধীনে ভোট হলে কতটা স্বচ্ছ হবে তা নিয়েই আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। একইভাবে দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন, “এই তালিকা তৈরি নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ আমাদেরও রয়েছে। আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলব।”

যদিও তৃণমূলের তরফে কংগ্রেস বা সিপিএমের বক্তব্য উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী গৌতমবাবু বলেছেন, “পুরোটাই স্বচ্ছ প্রক্রিয়া মেনে হয়েছে। আর যে আইন ধরে তালিকা তৈরি হয়েছে, তা আমাদের তৈরি নয়। বামফ্রন্ট সরকারের তৈরি। আর আমার নিজের জেতা ওয়ার্ডটিই তো মহিলা হয়ে গিয়েছে। সেখানে রাজনৈতিক স্বার্থে বড় বড় কথা বলার কোনও মানে হয় না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন