ছোট যাত্রীবাহী গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে পুলিশের উপরে হামলার অভিযোগ উঠল শিলিগুড়ির তিনবাতি মোড়ে। সোমবার পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে, এক জন সার্কল ইন্সপেক্টরের মুখ ফাটিয়ে পালিয়েছে ওই চালক ও তাঁর দলবল। অভিযুক্তদের একটি বড় অংশ তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র অনুমোদিত চালক সংগঠনের সদস্য বলে অভিযোগ। ৬ জন গ্রেফতার।
‘উত্তরকন্যা’র অদূরে কামরাঙ্গাগুড়ি ওভারব্রিজের কাছে ১০টার সময়ে উর্দিধারী পুলিশ অফিসার-কর্মীদের মারধরের দৃশ্য দেখে হকচকিয়ে যান পথচারী ও বাসিন্দারা। অভিযুক্তরা লোকজন এনে পুলিশের বিরুদ্ধে তোলা আদায়, অত্যাচার-সহ নানা অভিযোগে জাতীয় সড়ক অবরোধও করে। এনজেপি ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।
জখমরা জলপাইগুড়ি কালচিনির সার্কেল ইন্সপেক্টর কার্তিক ভট্টাচার্য, জেলা এনফোর্সমেন্ট শাখার ইন্সপেক্টর পারিজাত সরকার, এক কনস্টেবল শ্যামল রায় ও পুলিশের গাড়ির চালক বাবলু বর্মন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, সরকারি কাজে বাধা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, জাতীয় সড়ক অবরোধের মামলা হয়েছে।
পিনটেল ভিলেজে বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন পুলিশকর্মীরা। তিনবাতি সেতুর কাছে যাত্রী ওঠাচ্ছিল ছোট গাড়িটি। তাতে যানজট সৃষ্টি হয়। ওই অফিসাররা চালককে ওই ভাবে যাত্রী ওঠানামা করাতে নিষেধ করেন। তখনই ওই পুলিশকর্মীরা আক্রান্ত হন।
সিটুর দার্জিলিং জেলা সভাপতি অজিত সরকারের দাবি, “সমস্ত অটো, ছোটগাড়ি আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত ইউনিয়নের। মানুষকে হয়রানি করত, এখন পুলিশকে পেটাচ্ছে।” ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি আইএনটিটিইউসি-র ব্লক সভাপতি বিজন নন্দী বলেন, “অভিযুক্তরা কেউই আমাদের সংগঠনের নয়।”