শিলিগুড়ি কার্নিভ্যালের পোস্টার হাতে মন্ত্রী। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর শিলিগুড়ি কার্নিভ্যালের ‘থিম সং’-এর উদ্বোধন হল। সেই সঙ্গে উদ্বোধন হল কার্নিভালের পোস্টারেরও। শুক্রবার শিলিগুড়ি পুরসভার সভাকক্ষে গান ও পোস্টারের উদ্বোধন করলেন কার্নিভ্যালের চিফ প্যাট্রন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক কমিটি, পুর কমিশনার ও সচিবরা। এছাড়া বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ব্যবসায়িক সহযোগীদেরও ডাকা হয়েছিল কার্নিভালের পরবর্তী পদক্ষেপ তৈরি করতে। কার্নিভ্যালকে সফল করে তুলতে শহরের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলিকে সদর্থক ভূমিকা নিতে অনুরোধ করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী।
পুরবোর্ড না থাকার কারণে ওয়ার্ড উত্সব এবারে হচ্ছে না। তারই বিকল্প হিসেবে এই উত্সবের পরিকল্পনা করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে উপস্থিত থাকার কথা দৌড়বিদ মিলখা সিংহের। এ ছাড়া আরও কিছু তারকাকে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানা গিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, “এক মাস আগেই পোস্টার ও গানটি উদ্বোধন করে দেওয়া হল। এতে প্রচারে সুবিধা হবে। ফেসবুকে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও প্রচারে এগিয়ে আসতে হবে। গানটিও ফেসবুকে শোনা যাবে।”
‘থিম সং’ টি লেখা ও সুর দেওয়া সঙ্গীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। গেয়েছেন নচিকেতা ও তাঁর মেয়ে ধানসিঁড়ি। পোস্টার তৈরি ও পরিকল্পনার দায়িত্ব ছিল শিলিগুড়ির কার্টুন শিল্পী মলয় মুখোপাধ্যায় (অভি)-র উপরে। সেই পোস্টারটিতে থাকছে কার্নিভালের ম্যাসকট ‘শিল্লু’-র ছবি। তার হাতে বেলুন। পোস্টারে উত্সবের আমেজ ধরা পড়েছে। উত্সব সফল করতে সংক্ষিপ্ত বৈঠকও সেরে নেন মন্ত্রী।
কলকাতা ও মুম্বইয়ের যেসব শিল্পীরা সম্মতি জানিয়েছেন, তাদের নামও এদিন ঘোষণা করা হয়েছে। সঙ্গীতশিল্পী কুণাল গাঞ্জাওয়ালা, বিনোদ রাঠোর, অঞ্জন দত্ত, নচিকেতা চক্রবর্তী, সোমলতা আচার্য, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, বাংলাদেশের শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, ক্যাকটাস ও দোহার ব্যান্ড আসছেন। এবারে ওয়ার্ডে নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় প্রাথমিক প্রতিযোগিতা হবে বরো স্তরে। নাম জমা থেকে সমস্ত যোগাযোগ সেখানে করতে হবে। সেখানে প্রথম স্থানাধিকারী কেন্দ্রীয় প্রতিযোগিতায় মনোনীত হবেন।