পণের দাবিতে খুন, অভিযোগ

পণের দাবিতে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পরে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হেমতাবাদ থানার শাসন কোটলাগাছি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম রুজিনা বিবি (২০)। স্থানীয় বাঙালবাড়ি হাইস্কুল থেকে রুজিনা এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৪ ০১:৫৭
Share:

পণের দাবিতে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পরে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হেমতাবাদ থানার শাসন কোটলাগাছি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম রুজিনা বিবি (২০)। স্থানীয় বাঙালবাড়ি হাইস্কুল থেকে রুজিনা এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এ দিন শোওয়ার ঘর থেকে ওই বধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর পেশায় চাষি মৃতার বাবা খাকসেদ আলি মেয়ের স্বামী শাহেরুল ইসলাম, শ্বশুর মমতাজ আলি, ভাসুর জাহেরুল ইসলাম ও দেওর জামশেদ আলির নামে হেমতাবাদ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশের দাবি, অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক। হেমতাবাদ থানার ওসি মন্টু বর্মন বলেন, “অভিযুক্তদের খোঁজা হচ্ছে। রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে মৃতদেহটি ময়নাতদন্ত করানো হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।”

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ১১ মাস আগে হেমতাবাদের পশ্চিম গুটিন এলাকার বাসিন্দা রুজিনা খাতুনের সঙ্গে পেশায় দিনমজুর মহম্মদ শাহেরুলের বিয়ে হয়। শাহেরুল কলকাতায় দিনমজুরির কাজ করেন। সম্প্রতি, তিনি বাড়িতে ফেরেন। মৃতার বাবা খাকসেদ আলির অভিযোগ, “অভাবের সংসার। তার পরেই জামাই শাহেরুলকে পণ হিসেবে ৮০ হাজার টাকা, একটি সাইকেল ও কয়েক ভরি অলঙ্কার দিয়েছি। বিয়ের পর থেকে টাকার দাবিতে জামাই শাহেরুল সহ তাঁর পরিবারের লোকজন রুজিনাকে নিয়মিত মারধর করত।”

তিনি জানিয়েছেন, অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে রুজিনা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার বাপের বাড়িতে চলে আসেন। বাপের বাড়িতে থেকেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেন তিনি। স্বামী ফেরায় ও ফের শ্বশুরবাড়ি যায়। এ দিন ভোরে জামাই শাহেরুল, শ্বশুর মমতাজ, ভাসুর জাহেরুল ও দেওর জামসেদ মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে দিয়েছে। পড়শিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন, শোওয়ার ঘরে রুজিনার মৃতদেহ ঝুলছে। অভিযুক্তরা সকলেই পালিয়ে গিয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন