ফোর জি, মেয়রের জবাব চান পারিষদেরা

মেয়রের জ্ঞাতসারেই শহরে ফোর জি পরিষেবার কেবল পাতার কাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে মেয়র পারিষদদের জানিয়ে দিলেন পুর কমিশনার। বুধবার তা জানার পর কী কারণে মেয়র বোর্ড মিটিংয়ে ‘এ ব্যাপারে কিছু জানা নেই’ বলেছিলেন সে প্রশ্ন তুলেছেন মেয়র পারিষদরাই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৪ ০২:০৭
Share:

মেয়রের জ্ঞাতসারেই শহরে ফোর জি পরিষেবার কেবল পাতার কাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে মেয়র পারিষদদের জানিয়ে দিলেন পুর কমিশনার। বুধবার তা জানার পর কী কারণে মেয়র বোর্ড মিটিংয়ে ‘এ ব্যাপারে কিছু জানা নেই’ বলেছিলেন সে প্রশ্ন তুলেছেন মেয়র পারিষদরাই। আজ, বৃহস্পতিবার তা জানতে মেয়রের কাছে যাবেন তাঁরা। শহরের ওই বিতর্কিত বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে এ দিন পুর কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন মেয়র পারিষদরা। কেবল পাতার কাজ নিয়ে গত বোর্ড মিটিংয়ে প্রশ্ন ওঠে। মেয়র কিছু জানেন না বললে তৃণমূল এবং বাম কাউন্সিলররা প্রশ্ন তোলেন। তা নিয়ে হইচই হলেও পুরসভার মেয়র পারিষদরা বিষয়টি অন্ধকারে ছিলেন বলে দাবি।

Advertisement

মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত এ দিন বলেন, “এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তবে মেয়র পারিষদরা আমার কাছে কোনও ব্যাপারে আসতেই পারেন।” পুরসভার ডেপুটি মেয়র সবিতা অগ্রবাল বলেন, “মেয়রের জ্ঞাত সারেই সব কাজ হয়েছে বলে পুর কমিশনার জানিয়েছেন। সরকারি নিয়ম মেনেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হচ্ছে। মেয়র কেন তা পরিষ্কার করছেন না বুঝতে পারছি না। কেনই বা বোর্ড মিটিংয়ে ‘এ ব্যাপারে কিছু জানা নেই’ বলেছিলেন মেয়র? আমরা তাঁর কাছ থেকে বিস্তারিত জানতে চাই।”

এ দিন কেবল পাতার কাজের বিস্তারিত জানতে পুর কমিশনারের কাছে যান ডেপুটি মেয়র ছাড়া মেয়র পারিষদ দেবশঙ্কার সাহা, সঞ্জয় পাঠক, কাজল চন্দন, পম্পা দাস, রুমা নাথ, শিখা রায়রা। পুর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া এ দিন বলেন, “অনুমতি ছাড়া কেবল বসানোর কাজ বিভিন্ন ওয়ার্ডে হচ্ছে বলে অভিযোগ হয়েছে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মেয়রের জ্ঞাতসারেই ওই কাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে কাজ শুরুর অনুমতির বিষয়টি নির্বাচনের পর জানানো হবে বলা হয়েছিল।” কেবল পাতার কাজ নিয়ে নানা অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ হয়। মেয়র পারিষদ সুজয় ঘটক এবং মেয়র বারবার সংবাদ মাধ্যমের কাছে নানা তথ্য তুলে ধরতে থাকায় অস্বস্তিতে পড়ে মেয়র পারিষদরা। তার উপর সুজয়বাবুর বিরোধী পক্ষ তথা দলেরই একাংশ ওই ঘটনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মেয়রকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। মেয়র তাঁদের বা দলের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি বলে মেয়র পারিষদদের অভিযোগ। সঞ্জয়বাবু বলেন, “মেয়র এবং সুজয়বাবুর মধ্যে বোঝাপড়ার অভাবে আমাদেরকেও অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দাদের নানা প্রশ্নের জবাব দিতে পারছি না। কেন মেয়র বিষয়টি স্পষ্ট করছেন না তা জানতে চাইব।”

Advertisement

অন্য দিকে অনুমতি ছাড়া কেবল পাতার কাজ হওয়ায় ওই সংস্থার বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বোর্ড মিটিংয়ে। অথচ তা কেন করা হচ্ছে না ওই দাবিতে আজ, বৃহস্পতিবার মেয়রের সঙ্গে দেখা করবেন বিরোধী বামেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন