বিচারকের গাড়ির ধাক্কায় এক ছাত্রী জখম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির দেশবন্ধুপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। জখম ছাত্রীর নাম দৈজি প্রসাদ। সে খালপাড়ার হিন্দি বালিকা বিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। পুলিশের কাছে প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েক জন তাঁদের অভিযোগে জানিয়েছেন, বিচারক প্রসেনজিত্ বসু নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনা ঘটার পরে ওই বিচারক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে আটকে রেখে জখম ছাত্রীকে নিজের গাড়িতেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধ্য করেন বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। পুলিশ জানিয়েছে, প্রসেনজিত্ বসু নামে ওই ব্যর্কি নিউ জলপাইগুড়ি রেল আদালতের বিচারক। তাঁর বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি থানায় ওই ছাত্রীকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাত্রীর দাদা মনোজ প্রসাদ। ছাত্রীর হয়ে দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করা হবে বলে আইনজীবী অত্রিদেব শর্মা জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি পুলিশের এডিসি কে সাভারি রাজকুমার বলেন, “অভিযোগ হয়েছে। তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা হবে। প্রয়োজনে মামলা করা হবে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ দেশবন্ধুপাড়ার এনটিএস মোড় সংলগ্ন এলাকায় সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন দৈজি। সেই সময় জোরে আওয়াজ ও চিত্কার শুনে আশপাশের লোকজন দেখেন, ওই ছাত্রীটি পড়ে রয়েছে। তার পাশে পড়ে সাইকেল। তার মাথায় চোট লেগেছে বলে ছাত্রীটি জানায়। তার পরেই জ্ঞান হারায় সে। তাকে ওই অবস্থায় দেখে ঘাবড়ে গিয়ে এলাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন গাড়ি চালক। গাড়িটিতে ম্যাজিস্ট্রেট, নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে লেখা ছিল। গাড়িতে স্ত্রী ও মেয়ে ছিল। উত্তেজিত জনতা তাঁর গাড়িটিকে আটকে রেখে দাবি করতে থাকে তাঁকে গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুগন্ধা বিশ্বাস বলেন, “আমরা এসে দেখি মেয়েটি পড়ে রয়েছে। পরে আমরাই গাড়িতে তাকে ধরে নিয়ে যাই হাসপাতালে। ওই বিচারক তখন দুর্ব্যবহার করেন।” আর এক প্রত্যক্ষদর্শী গৌতম সরকার বলেন, “ঘটনাস্থলের পাশেই আমার বাড়ি। হঠাত্ হইচই শুনে দেখি, একটা গাড়ির সামনে রাস্তায় পড়ে রয়েছে একটি মেয়ে। গাড়ির চালক বাসিন্দাদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছেন। পরে জানতে পারি উনি বিচারক।”
এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি প্রসেনজিত্বাবু। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোনও কথা না বলেই হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান। ছাত্রীর পক্ষে আইনজীবী অত্রিদেববাবু বলেন, “আমরা বিচারকের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা দায়ের করব। ছাত্রীর চিকিত্সার সমস্ত ব্যবস্থা করা উচিত ছিল ওঁর। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে ওই ছাত্রীকে প্রধাননগরের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত পর্যন্ত তাঁর জ্ঞান ফেরেনি বলে নার্সিংহোম সূত্রে জানা গিয়েছে।
ফিরলেন মোহন। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে ফিরলেন। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা তাঁকে সংবর্ধনা জানান। পুরসভার চেয়ারম্যানকে নিয়ে শহর জুড়ে চলে ছাত্র যুবদের বাইক মিছিল। জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, “জলপাইগুড়ি শহরকে ঢেলে সাজাতে হবে। মোহনবাবুকে বেশ কিছু পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে।” ১ জুলাই পুরসভার ছয় কংগ্রেস কাউন্সিলারকে নিয়ে মোহনবাবু সহ পুরসভার ৮ জন কাউন্সিলর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।