বাজেট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া উত্তরবঙ্গে

সিকিম-সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর ছাড়ের যে সুযোগ পায় উত্তরবঙ্গকেও তার আওতায় আনার দাবি দীর্ঘদিনের। অথচ বাজেটে সে ব্যাপারে কোনও ঘোষণা না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছে শিলিগুড়ি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। ওই সুযোগ না-পাওয়ার কারণেই এই এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়ন আশানুরূপ নয় বলে দাবি করেন সমিতির কর্মকর্তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৫ ০১:০৬
Share:

সিকিম-সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর ছাড়ের যে সুযোগ পায় উত্তরবঙ্গকেও তার আওতায় আনার দাবি দীর্ঘদিনের। অথচ বাজেটে সে ব্যাপারে কোনও ঘোষণা না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছে শিলিগুড়ি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। ওই সুযোগ না-পাওয়ার কারণেই এই এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়ন আশানুরূপ নয় বলে দাবি করেন সমিতির কর্মকর্তারা।

Advertisement

শিলিগুড়ি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওমপ্রকাশ অগ্রবাল বলেন, ‘‘৫০ হাজার কিংবা তার বেশি টাকার কেনাকাটা এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে প্যানকার্ড দেখানোর নিয়ম শিথিল করাকে ব্যবসায়ীরা স্বাগত জানিয়েছে। ওই সীমা ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ করা হয়েছে। তবে সমস্ত ক্ষেত্রেই পরিষেবা কর বাড়ানোর বিষয়টি আমাদের হতাশ করেছে।”

‘আচ্ছে দিন’-এর যে স্লোগান দিয়েছিল বিজেপি, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন হওয়ার পরে তাঁদের প্রথম বাজেটে তার প্রতিফলন নেই বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ী এবং কর বিষয়ক আইনজীবীদের অনেকেই। শিলিগুড়ির কর বিষয়ক আইনজীবী কমল অগ্রবালের দাবি, “এই বাজেট নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্তদের কোনও আশা দেখাতে পারেনি। পরিষেবা কর বহু ক্ষেত্রে ১২.৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৪ শতাংশ করা হয়েছে। কর্পোরেট দুনিয়ার ক্ষেত্রে কর ছাড়ের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে কর ছাড়ের ঘোষণা নেই।” রাজ্যের জন্য এইমসের কোনও ঘোষণা বা অর্থ বরাদ্দ নেই কেন সেই প্রশ্নও তুলেছেন কমলবাবু।

Advertisement

অন্য দিকে, শিল্পোদ্যোগী এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টটেন্টদের একাংশ এই বাজেটকে ভবিষ্যতের জন্য সুফলদানকারী বলে মনে করছেন। এ দিন শিলিগুড়ির তিনবাতি এলাকায় দ্যা ইন্সস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট অব ইন্ডিয়া (আইসিএআই)-র ভবনে বাজেট নিয়ে আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল।

আইসিএআই ছাড়া কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই)-র উদ্যোগে ওই আলোচনা সভায় অংশ নেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক অনিল ভুঁইমালি, শিল্পোদ্যোগী কমল মিত্তাল, পি কে শাহ প্রমূখ। সিআইআই-এর উত্তরবঙ্গ শাখার চেয়ারম্যান প্রবীর শীল এই বাজেটকে উন্নয়ন এবং সংস্কারমুখী বলে মত দেন। তিনি জানান, ৫টি পাওয়ার প্রজেক্টের সে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া ব্যবসার সম্ৃদ্ধির দিকে সরকার জোর দিয়েছে। অনিল ভুঁইমালি বলেন, “কৃষি ছাড়া গ্রামীণ অর্থনীতি বিকাশ সম্ভব নয়। এই বাজেটে সরকার কৃষিক্ষেত্রকে ক্রমেই উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত করতে সচেষ্ট বলে মনে করি।” আলোচনায় মুখোমুখি প্রশ্নোত্তর পর্ব ছিল। পরিষেবা কর বৃদ্ধি এবং জিনিসের দাম বৃদ্ধির ফলে গরীব এবং মধ্যবিত্তরা সমস্যায় পড়বেন বলে প্রশ্নোত্তর পর্বে জানান, অনুপ সরকার, সন্দীপ অগ্রবালরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন