বিজেপি-কে বিঁধলেন যশোবন্ত

বিজেপি গোর্খাল্যান্ডের গুরুত্ব বুঝতে পারছে না। তাই গোর্খাল্যান্ড নিয়ে দল কোনও সুষ্ঠু নীতিও গড়ে তুলতে পারেনি। দার্জিলিঙে এসে এ অভিযোগ তুললেন বিদায়ী সাংসদ যশোবন্ত সিংহ। গত লোকসভা নির্বাচনে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থনে দার্জিলিং থেকে জিতেছিলেন বিজেপি-র প্রার্থী যশোবন্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৪ ০১:৩৪
Share:

বিজেপি গোর্খাল্যান্ডের গুরুত্ব বুঝতে পারছে না। তাই গোর্খাল্যান্ড নিয়ে দল কোনও সুষ্ঠু নীতিও গড়ে তুলতে পারেনি। দার্জিলিঙে এসে এ অভিযোগ তুললেন বিদায়ী সাংসদ যশোবন্ত সিংহ। গত লোকসভা নির্বাচনে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থনে দার্জিলিং থেকে জিতেছিলেন বিজেপি-র প্রার্থী যশোবন্ত। এ বার লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী-পদ নিয়ে গোলমালে বিজেপি থেকে তিনি বহিষ্কৃত হন। রবিবার পুরনো সংসদীয় ক্ষেত্রে এসে পুরনো দলের সমালোচনা করলেন যশোবন্ত। তাঁর অভিযোগ, গোর্খাল্যান্ড নিয়ে বিজেপি ‘দুই নৌকায়’ পা দিয়ে চলার কৌশল নিয়েছে। সমতলে এক রকম এবং পাহাড়ে অন্য রকম দাবি করছে। আগামী তিন-চার দিন তিনি দার্জিলিং থাকবেন। পাহাড় সফরকে ‘ব্যক্তিগত’ বলেই অ্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

শনিবার বিকেলে যশোবন্ত সিংহ দার্জিলিং পৌঁছন। গোর্খাল্যান্ড দাবিকে তিনি যে গুরুত্ব দিয়েছিলেন, সে কথা এ দিন জানিয়েছেন বিদায়ী সাংসদ। তিনি বলেন, “দার্জিলিঙের সঙ্গে এই রাজ্যের অন্য প্রান্তের ভাষাগত বা সাংস্কৃতিগত মিল নেই। তাই কেন গোর্খাল্যান্ডের বিরোধিতা করা হচ্ছে সেটা বুঝতে পারছি না। এটা বাংলা ভাগ নয়, গোর্খাল্যান্ড হলে দেশের অন্যতম একটি সমস্যার সমাধানও হবে। এটা রাজনৈতিক কর্তব্য।”

যশোবন্ত জানিয়েছেন, দার্জিলিং থেকে যদি বিজেপি প্রার্থী জয়ী বন, এবং তিনি নিজেও তাঁর কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। তবে দার্জিলিঙের উন্নয়ন নিয়ে বিজেপি সাংসেদর পাশে দাঁড়াবেন। দার্জিলিঙের ভাবী সাংসদ যদি সংসদে গোর্খাল্যান্ডের দাবি তোলেন তবে তিনি তা সমর্থন করবেন বলেও জানিয়েছেন। মোর্চার সমর্থনে সাংসদ হয়েছিল তিনি। তবে মোর্চার সঙ্গে বর্তমান সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করার জন্য বিজেপির নিজস্ব কারণ ছিল। আবার মোর্চাও নিজস্ব কারণে বিজেপিকে সমর্থন করেছে। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই, তবে ওদের (মোর্চা) সঙ্গে আমার সম্পর্ক যথেষ্ট ভাল।” আজ, সোমবার মোর্চার একটি প্রতিনিধি দল বিদায়ী সাংসদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকারে যাবে বলে জানিয়েছে। মোর্চা সাধারণ সম্পাদজক রোশন গিরি বলেন, “উনি কী বলেছেন তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তবে সোমবার ওঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকার করতে যাব।” দার্জিলিং আসা নিয়ে যশোবন্ত বলেন, “পাঁচ বছরের সাংসদ ছিলাম। দার্জিলিঙের বাসিন্দা এবং পরিবেশের সঙ্গে আমার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সেই সম্পর্কটা অটুট থাকবে। তাই এসেছি। আবারও আসব। এখানকার সমস্যা নিয়েও ভবিষ্যতে আলোচনা করব। তা সমাধানে উদ্যোগী হব।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন