উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহত্ দুধ সরবরাহকারী সংস্থা হিমূলের অচলাবস্থা নিয়ে কলকাতায় বৈঠক হলেও জট খুলল না। মঙ্গলবার বিকালে সল্টলেকের প্রাণী সম্পদ বিকাশ ভবনে হিমূলের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। সরকারি সূত্রের খবর, হিমূলের অর্থসঙ্কট, দুধ সরবরাহকারীদের বকেয়া, কর্মীদের বেতন সমস্ত কিছু নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়। মন্ত্রী সমস্ত বিষয় শোনার পর সমস্ত কিছু গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে ওই অফিসারদের বলেছেন। তবে লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ায় আপাতত কোনও আর্থিক সাহায্য দেওয়া যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। আপাতত, অল্প পরিমাণে দুধ এনে তা বিক্রি করে হিমূলকে সচল রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপনবাবু শুধু বলেন, “এ দিন হিমূল নিয়ে বৈঠক হয়েছে। হিমূলের অফিসারদের কাছ থেকে পরিস্থিতি শুনেছি। কিছু কাগজপত্র ফের জমা দিতে বলা হয়েছে। হিমূলকে সচল রাখার জন্য বলা হয়েছে। আর্থিক সাহায্যের বিষয়টি ভোটের জন্য এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি দফতরের অফিসারেরা দেখছেন।” দুধের সরবরাহ অনিয়মিত হওয়ার সঙ্গে গত মাসের বেতনও পাননি হিমূলের কর্মীরা। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রীর বক্তব্য, “হিমূল একটি কো-অপারেটিভ সংস্থা। সেখান থেকেই কর্মীদের বেতন হয়। তাই হিমূলকে সচল করতে পারলেই কর্মীদের বেতন হবে।”
চলতি মাসের প্রথম থেকেই আর্থিক বেহাল দশায় ধুঁকতে থাকা হিমূলে অচলাবস্থা দেখা দেয়। দুধ সরবরাহকারীদের প্রায় ২ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে তাঁরা দুধ সরবরাহ বন্ধ করে দেন। এক-দু’দফায় দুধ শিলিগুড়ির সমতল এলাকা থেকে জোগাড় করা হলেও কয়েকদিন এক বেলা দুধ দেওয়া হলেও তা আপাতত বন্ধ। সম্প্রতি বিহার থেকে ১৫ হাজার লিটার দুধ আনা হলেও দুধের দূষণ দূর করার যন্ত্রটি খারাপ থাকায় ওই দুধ এখনও বাজারে আসেনি। এর মধ্যে নতুন করে ফের বিহার এবং শিলিগুড়ি মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে দুধ জোগাড়ের চেষ্টা শুরু হয়েছে। তবে হাতে টাকা না থাকায় সমস্যা হচ্ছে বলে সংস্থার সিইও পেম্বা শিরিং শেরপা জানিয়েছেন। সেই কর্মীরা বেতনও পাননি।