ব্যবসায়ীকে ছুরি, ধরা পড়েনি কেউ

কাপড়ের ব্যবসায়ীকে ছুরি মেরে ও বোমাবাজি করে টাকা লুঠের ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। মালদহের সামসিতে ওই লুঠের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা বাদেও পুলিশ দুষ্কৃতীদের কাউকে ধরতে না পারায় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বাসিন্দাদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে কয়েকজন দুষ্কৃতীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। চাঁচলের এসডিপিও কৌস্তভদীপ্ত আচার্য বলেন, “তল্লাশি চলছে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৪৪
Share:

কাপড়ের ব্যবসায়ীকে ছুরি মেরে ও বোমাবাজি করে টাকা লুঠের ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। মালদহের সামসিতে ওই লুঠের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা বাদেও পুলিশ দুষ্কৃতীদের কাউকে ধরতে না পারায় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বাসিন্দাদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে কয়েকজন দুষ্কৃতীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। চাঁচলের এসডিপিও কৌস্তভদীপ্ত আচার্য বলেন, “তল্লাশি চলছে।”

Advertisement

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামসি রেল স্টেশনের সামনে ব্যবসার টাকা সংগ্রহ করে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ধরতে স্টেশনে যাচ্ছিলেন কাপড় ব্যবসায়ী কমল হাজরা। তাঁর বাড়ি নবদ্বীপে। চাঁচল ও সামসি এলাকায় বিভিন্ন দোকানে তিনি কাপড় সরবরাহ করেন। রেল স্টেশনের সামনে তাঁর পথ আগলে দাঁড়ায় জনা দশেকের দুষ্কৃতী দলটি। টাকার ব্যাগ দিতে বাধা দেওয়ায় তার হাতে ও পিঠে ছুরি মেরে ব্যাগ নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। পালানোর আগে আতঙ্ক ছড়াতে বোমাবাজি করার পাশাপাশি দুষ্কৃতীরা শূন্যে গুলিও চালায় বলে অভিযোগ।

খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছতেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ভরসন্ধ্যায় ওই ঘটনার জেরে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের তিনটি জিপে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও পরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে ক্ষুব্ধ জনতা। রাত সাড়ে দশটা পর্য়ন্ত দুঘণ্টা ধরে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের বিক্ষোভ চলে। পরে দুষ্কৃতীদের ধরা হবে বলে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। তবে অবরোধ উঠলেও দ্রুত দুষ্কৃতীরা গ্রেফতার না হলে টানা আন্দোলনে নামা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা।

Advertisement

স্টেশনের সামনে জনবহুল এলাকায় ওই ঘটনার জেরে আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা। কেননা প্রতিদিন ওই এলাকায় টাকা সংগ্রহ করতে আসেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা বলেন, “জেলায় বিভিন্ন এলাকায় চুরি ছিনতাই বাড়ছে। যা হল তাতে আমরা আতঙ্কিত। আমরা হাট-বাজার এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানোর দাবি পুলিশকে জানিয়েছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন