কোচবিহার সংশোধনাগারে টেলিভিশন। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব।
ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে থেকেই একটি টেলিভিশনের আবেদন করেছিলেন বন্দিরা। বিশ্বকাপ শুরু হলেও টেলিভিশনের দেখা মেলেনি। হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। অবশেষে বুধবার টেলিভিশন পৌঁছল কোচবিহার জেলা সংশোধনাগারে।
কোচবিহার সদর মহকুমাশাসক বিকাশ সাহা নিজে হাতে ওই টেলিভিশন পৌঁছে দিয়েছেন সংশোধনাগারে। তিনি জানান, লায়ন্স ক্লাবের সহায়তায় ওই টেলিভিশন সংশোধনাগারে দেওয়া হয়েছে। ওই টেলিভিশন পেয়ে উল্লসিত হয়ে পড়েছেন তাঁরা। মহকুমাশাসক বলেন, “সবাই এখন বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে মেতে রয়েছে। ভারতের খেলা থাকলে তো অনেকের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ। এমন সময় সবাই মিলে আবেদন করে, একটু দেরি হলেও আমরা তাঁদের হাতে টিভি তুলে দিতে পারলাম। লায়ন্স ক্লাবের পক্ষে শ্রী চাঁদ জৈন বলেন, “বন্দিদের পাশে থাকতে আমরা খুশি। বিশ্বকাপের আনন্দ ওঁরাও পাক। সেটা চাই।”
সংশোধনাগার সূত্রের খবর, কোচবিহার জেলা সংশোধনাগারে প্রায় সবসময় ২০০ জনের উপরে বন্দি থাকেন। সংশোধনাগারের ভিতরে খবর কাগজ পড়ার ব্যবস্থা থাকলেও টেলিভিশন ছিল না। তা নিয়ে খুব একটা কখনও হইচইও হয়নি। এবারে ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকে একটি টেলিভিশনের জন্য আবদার করতে থাকেন বন্দিরা।
জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান তাঁরা। কারা-কর্মীদেরও অনেকেই ওই দাবির সঙ্গে সহমত ছিলেন। সংশোনাগারে টেলিভিশন থাকলে ডিউটির ফাঁকে তাঁরাও এক বার স্কোর জানতে পারবেন।
কিন্তু কাজ হচ্ছিল না। গত ২৬ জানুয়ারি লায়ন্স ক্লাবের উদ্যোগেই সংশোধনাগারে বন্দিদের মধ্যে ফল বিতরণ করা হয়। সে সময় মহকুমাশাসককে হাতের কাছে পেয়ে একটা টেলিভিশনের আবেদন করেন বন্দিরা। বিশ্বকাপের আগেইএকটা টিভির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তাঁরা।
বিষয়টি নিয়ে মহকুমাশাসক লায়ন্স ক্লাবের সঙ্গেই আলোচনা করেন। তাঁরা টেলিভিশন দিতে রাজি হয়ে যান। এ দিন মহকুমাশাসক ওই টেলিভিশন নিয়ে পৌঁছে যান সংশোধনাগারে। জেল কর্তৃপক্ষের হাতে তিনি ওই টেলিভিশন তুলে দেন। তিনি বলেন, “একদিনের মধ্যে টেলিভিশনে সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে।”