বাসস্ট্যান্ড চালু হয়নি, ভোগান্তি গঙ্গারামপুরে

শাসক সিপিএম এবং বিরোধী তৃণমূলের কাজিয়ায় গঙ্গারামপুর পুরসভার তৈরি নবনির্মিত বাসস্ট্যান্ড চালু না হওয়ায় বাসিন্দাদারা ভোগান্তির অভিযোগ তুলেছেন। শহরের রাস্তার উপরেই বাসস্ট্যান্ড চালু থাকায় শহরবাসীকে নিত্য যানজট ও পথ দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সিপিএম পরিচালিত গঙ্গারামপুর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে রাজ্য সড়কের দুধারে চালু থাকা বাস স্টপের পিছনের এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে পুরসভা নতুন একটি বাস টার্মিনাস তৈরি করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৪ ০২:২৪
Share:

শাসক সিপিএম এবং বিরোধী তৃণমূলের কাজিয়ায় গঙ্গারামপুর পুরসভার তৈরি নবনির্মিত বাসস্ট্যান্ড চালু না হওয়ায় বাসিন্দাদারা ভোগান্তির অভিযোগ তুলেছেন। শহরের রাস্তার উপরেই বাসস্ট্যান্ড চালু থাকায় শহরবাসীকে নিত্য যানজট ও পথ দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

সিপিএম পরিচালিত গঙ্গারামপুর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে রাজ্য সড়কের দুধারে চালু থাকা বাস স্টপের পিছনের এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে পুরসভা নতুন একটি বাস টার্মিনাস তৈরি করে। গত মার্চে ওই বাস টার্মিনাসটি উদ্বোধনের উদ্যোগ নেন সিপিএম পরিচালিত পুর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পুরসভার বিরোধী তৃণমূল কাউন্সিলরদের আপত্তিতে তা এখনও চালু হয়নি বলে অভিযোগ।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাজ্য সড়কের দুধারে গড়ে ওঠা বাসস্টপ থেকে ছাত্রীদের গাড়িতে ওঠা নামা করতে হচ্ছে। সড়ক জুড়ে বেআইনিভাবে ট্যাক্সি, অটো, যন্ত্রচালিত ভুটভুটি (ভ্যানো), ঠ্যালা, রিকশার পার্কিংয়ের জেরে নিত্যযাত্রীদের নাভিশ্বাস উঠেছে। স্কুলের সময়ে রাস্তা পার হতে গিয়েও সমস্যায় পড়ছেন ছাত্রছাত্রীরা। দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। যানজট নিয়ন্ত্রণও সঠিকভাবে হচ্ছে না।

Advertisement

পুরসভার সিপিএমের চেয়ারম্যান সুবল বসাক বলেন, “বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় টার্মিনাসটি তৈরির কাজ শেষ করা হয়। ২৮ মার্চ সেটি উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। তৃণমূলের আপত্তিতে তা হয়নি। সামনেই পুরভোট, এর কৃতিত্ব যাতে বর্তমান না পায়, সেই জন্য টার্মিনাসটি চালু করতে দেওয়া হচ্ছে না।” তবে পুরসভার বিরোধী তৃণমূলের দলনেতা তথা কাউন্সিলর জয়ন্ত দাসের অভিযোগ, “পুর কর্তৃপক্ষ বিরোধী কাউন্সিলরদের না জানিয়ে এককভাবে বাস টার্মিনাস উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বর্তমান সরকারের মন্ত্রী, পরিষদীয় সচিব, স্থানীয় বিধায়ক কাউকে কিছু জানানো হয়নি। তাই আমরা লিখিতভাবে আপত্তির কথা জানিয়েছি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে তা চালু হলে আমাদের আপত্তি নেই।” আর কাজের কৃতিত্বের অভিযোগ নিয়ে জয়ন্তবাবু বলেন, “ওই সব মনগড়া অভিযোগ। আমরা জনপ্রতিনিধিদের অবমাননার প্রতিবাদ করেছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement