ফরেন্সিকে গেল সোয়েটার

বিহারের দুষ্কৃতী জড়িত খুনে, চলছে খোঁজ

মালদহের ব্যবসায়ী উজ্জ্বল পাণ্ডে খুনের ঘটনায় জড়িত রয়েছে আরও একজন। ধৃত এনভিএফ কর্মীকে জেরা করে তেমনই তথ্য পেয়েছে পুলিশ। বিহারের বাসিন্দা ওই দুষ্কৃতীর খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। যে রক্তমাখা সোয়েটারটি এনভিএফ কর্মী দুলাল মণ্ডলকে চিহ্নিত করতে সাহায্য করেছিল সেটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য শিলিগুড়িতে পাঠানো হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:০৯
Share:

মালদহের ব্যবসায়ী উজ্জ্বল পাণ্ডে খুনের ঘটনায় জড়িত রয়েছে আরও একজন। ধৃত এনভিএফ কর্মীকে জেরা করে তেমনই তথ্য পেয়েছে পুলিশ। বিহারের বাসিন্দা ওই দুষ্কৃতীর খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। যে রক্তমাখা সোয়েটারটি এনভিএফ কর্মী দুলাল মণ্ডলকে চিহ্নিত করতে সাহায্য করেছিল সেটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য শিলিগুড়িতে পাঠানো হচ্ছে। মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Advertisement

সোমবার গভীর রাতে মানিকচকের মথুরাপুরের পাণ্ডে পাড়ায় উজ্জ্বল পান্ডে নামে এক ব্যবসায়ী খুন হন। মঙ্গলবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। তিনি জমি ও গাড়ির ব্যবসা করতেন। পুলিশ সূত্রের খবর, গাড়ির ব্যবসার সূত্রে তার সঙ্গে ব্যবসায়ী নিমাই চৌধুরীর পরিচয় হয়। ব্যবসার কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে সম্প্রতি দুই জনের মধ্যে গোলমাল চলছিল। তদন্তে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার রাতে এক উর্দিধারী সঙ্গে নিহত ওই ব্যক্তিকে কথা বলতে দেখে ছিলেন এলাকার কয়েকজন। পরে মানিকচক থানায় কর্তব্যরত এনভিএফ কর্মী দুলাল মণ্ডলের সোয়েটারে লেগে থাকে রক্তের দাগ দেখে পুলিশ অফিসারদের সন্দেহ হয়। পরে নিহতের পরিবারের তরফেও ওই এনভিএফ কর্মী দুলাল মন্ডল ও ব্যবসায়ী নিমাই চৌধুরীর নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ জমা পড়তেই ওই এনভিএফ কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জেরা করে জানা যায় এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকার সুপারি নিয়ে উজ্জ্বল বাবুকে খুন করেছে সে। ওই ব্যবসায়ী নিমাই চৌধুরীকেও গ্রেফতার করা হয়। আদালতের নির্দেশে এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে ধৃতরা।

ধৃতের হেফাজত থেকে উদ্ধার হওয়া রক্তমাখা সোয়েটারটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য শিলিগুড়ি পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিসের দাবি, দুলাল জেরায় জানিয়েছে, টাকার জন্য সে ভোজালি দিয়ে খুন করেছে ওই ব্যবসায়ীকে। বিহারের আরেক বাসিন্দাও তার সঙ্গে ছিল। সেই সময় তাকে ১ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল বলেও জানিয়েছে দুলাল। ২০০৫ সালে দুলালের বাবা ধীরেন মণ্ডল কর্মরত অবস্থায় মারা যান। এরপরেই সে চাকরি পায়। মথুরাপুরের ধরমটোলায় তার মা পরিচারিকার কাজ করেন। দুলাল তার মা’কেও ঠিকমতো দেখাশোনা করত না বলে অভিযোগ।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন