বেহাল রাস্তা সংস্কারে হেলদোল নেই কারও

রাস্তার পিচের চাদর উধাও হয়েছে বহু আগে। সংস্কারের অভাবে সামান্য বৃষ্টি হলেই ভাঙাচোরা রাস্তা ডোবায় পরিণত হয়। কোথাও তা দেখলে মনে হবে খেত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৪ ০২:০৬
Share:

বেহাল ব্লক রোড। নিত্য দুর্ভোগ পথচারীদের। ছবি: বাপি মজুমদার।

রাস্তার পিচের চাদর উধাও হয়েছে বহু আগে। সংস্কারের অভাবে সামান্য বৃষ্টি হলেই ভাঙাচোরা রাস্তা ডোবায় পরিণত হয়। কোথাও তা দেখলে মনে হবে খেত।

Advertisement

চাঁচলের এই রাস্তাটির নাম ব্লক রোড। রাস্তার পাশেই রয়েছে বিডিও অফিস-সহ পঞ্চায়েত সমিতি দফতর। প্রতিদিন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্তারা। একই রকম অবস্থা থানা রোডের। অল্প বৃষ্টি হলেই রাস্তা জল-কাদায় থইথই করতে থাকে। সংস্কারের অভাবে দীর্ঘ দিন বেহাল রয়েছে মহকুমাশাসকের বাংলোগামী সিনেমা হল রোডও।

এলাকার উন্নয়নের দায়িত্ব যাদের, সেই প্রশাসনের নাকের ডগায় দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল তিনটি রাস্তাকে ঘিরে মানুষের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি রাস্তা সংস্কারে পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের হেলদোল নেই অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান সদরের বাসিন্দারা। ঘণ্টা দুয়েক পরে আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়।

Advertisement

চাঁচলের মহকুমাশাসক সঞ্জীব দে বলেন, “জেলায় উন্নয়ন সংক্রান্ত নানা সভায় আমিও একাধিক বার রাস্তার সমস্যা নিয়ে কথা বলেছি। রাস্তাগুলো ঠিক করতে কত খরচ হবে তা ব্লক প্রশাসনকে জানাতে বলেছি। জেলার কর্তাদের তা জানাব যাতে মেরামতির বরাদ্দ মেলে।” চাঁচল ১-এর বিডিও সুব্রত বর্মন বলেন, “ওই রাস্তা করার মতো তহবিল নেই। কিছু দিন আগে সংস্কার করেও লাভ হয়নি। তাই রাস্তা কংক্রিটের করার কথা ভাবা হচ্ছে। বরাদ্দ পেতে খসড়া প্রকল্প তৈরি করে প্রশাসনে আবেদন জানানো হবে।”

বাসিন্দাদের অভিযোগ, ব্লক রোড ও থানা রোডের পাশাপাশি সিনেমা হল রোডও এতই বেহাল যে যাতায়াত করতে নাজেহাল হতে হচ্ছেন তাঁরা। সংস্কারের অভাব, নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলে রাস্তায় দীর্ঘদিন জল জমে থাকে। রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে। সম্প্রতি প্রশাসনের তরফে ইট দিয়ে সামান্য সংস্কার করায় তাতে দুর্ভোগ মেটার বদলে সমস্যা বেড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ঝন্টু রবিদাস, পার্থসারথি সিংহ বলেন, “নামে আমরা মহকুমা সদরের বাসিন্দা। ওই রাস্তাগুলির হাল দেখলে অন্তত সেই রকম কিছুই মনে হয় না।” মাত্র দেড় কিলেমিটার রাস্তার জন্য প্রতি দিন বাসিন্দাদের ভুগতে হলেও প্রশাসন কেন নীরব সে প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রসঙ্গে চাঁচল ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিপিএমের রুবি সাহা বলেন “সমিতির পক্ষে করা সম্ভব হলে আগেই রাস্তাগুলো ঠিক করে দিতাম। জেলা পরিষদকে সব বলেছি।” চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি-র প্রধান আদর্শ কুমার রাম বলেছেন, “আমরা সবাইকেই একাধিক বার করে চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু তার ফল মেলেনি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন